১৪ ঘণ্টায়ও খোঁজ মেলেনি খালে পড়ে নিখোঁজ ছয় মাসের শিশুর
Published: 19th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার কাপাসগোলা এলাকায় মায়ের কোলে থাকা ছয় মাস বয়সী শিশুসহ তিনজনকে নিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা গতকাল শুক্রবার রাত আটটায় খালে পড়ে যায়। রিকশায় থাকা শিশুটির মা ও দাদি খাল থেকে উঠে এলেও এখনো শিশুটির খোঁজ পাওয়া যায়নি। পার হয়েছে ১৪ ঘণ্টা।
শিশুটিকে উদ্ধারে গতকাল সিটি করপোরেশন, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়েছেন। রাত তিনটা পর্যন্ত খালের বিভিন্ন অংশে নেমে ডুবুরিরা তল্লাশি করেন। এরপর আজ সকাল সাতটায় নৌবাহিনী পুনরায় অভিযান শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে সকাল ১০টায় প্রথম আলোকে জানানো হয়েছে, ১৪ ঘণ্টা পার হলেও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। তল্লাশি চালাচ্ছে নৌবাহিনী।
এদিকে শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। তিনি গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, শিশুটিকে উদ্ধারে নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যেকোনো ব্যক্তি শিশুটিকে উদ্ধার করতে পারলে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পাবেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, শিশুটির নাম সেহরিশ। তার মায়ের নাম সালমা বেগম। বাবা নাম মো.
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক বলেন, খালটি হিজড়া খাল নামে পরিচিত। খালের বিভিন্ন অংশে আবর্জনার স্তূপ জমে আছে। চালক অটোরিকশাটি ঘোরাতে গিয়ে খালে ফেলে দেন। তাৎক্ষণিকভাবে দুই নারী উঠে এলেও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। নগরে গতকাল সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে খালে পানির স্রোত ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, খালটির সঙ্গে সড়ক একেবারে লাগোয়া। এ সড়কে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলায় খালের পাশে থাকা একটি নিরাপত্তাবেষ্টনী খুলে রাখা হয়েছিল। এ কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল। নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না। অবশ্য গতকাল রাতে মেয়র শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে খালের পাশে নিরাপত্তাবেষ্টনী বসানো হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাবানার আজ জন্মদিন
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা। রবিবার (১৫ জুন) এ অভিনেত্রীর জন্মদিন। ১৯৫২ সালের এই দিনে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা সিনেমার অবিস্মরণীয় এই তারকা। তার প্রকৃত নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। কিন্তু সারা দেশের মানুষ তাকে হৃদয়ে ধারণ করে ‘শাবানা’ নামে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শিশুশিল্পী হিসেবে ‘নতুন সুর’ (১৯৬২) সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক হয় শাবানার। সেখান থেকে শুরু—তারপর এক দীর্ঘ পথচলা, যেখানে শাবানা হয়ে ওঠেন একের পর এক যুগান্তকারী সিনেমার মুখ। চার দশকের ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে বাংলা সিনেমার আকাশে নিজেকে স্থায়ী নক্ষত্রে রূপান্তরিত করেন।
‘ভাত দে’, ‘অবুঝ মন’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘ওরা এগারো জন’, ‘চাঁপা ডাঙার বউ’, ‘আক্রোশ’, ‘রাঙা ভাবি’, ‘বাংলার নায়ক’—এমন অসংখ্য কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটেছেন শাবানা। জনপ্রিয়তা ও অভিনয়গুণে অনন্য এক শিল্পী, যিনি রোমান্স থেকে শুরু করে সমাজধর্মী, দেশপ্রেম বা পারিবারিক—সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন।
আরো পড়ুন:
‘অত্যাচারী’ স্বামীর মৃত্যুতে কারিশমার শোক, যা বললেন জয়া
দর্শক বলছেন আমি যেন শুভ ভাইকে বিয়ে করি: মন্দিরা
অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাবানা। প্রযোজক হিসেবেও পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। নাট্য ও সংস্কৃতি জগৎ থেকেও অর্জন করেছেন বাচসাস, নাট্যসভা, ললিতকলা একাডেমি ও কথক একাডেমি পুরস্কার।
ব্যক্তিজীবনে ১৯৭৩ সালে বিয়ে করেন সরকারি কর্মকর্তা ও প্রযোজক ওয়াহিদ সাদিককে। তিন সন্তানের জননী শাবানা ১৯৯৭ সালে হঠাৎ করেই অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।
অভিনয়ে ফিরবেন কি না, সে প্রশ্ন বহুবার উঠেছে। কিন্তু শাবানা এমন এক নাম, যার অবদান আর স্মৃতিময়তা কখনো ম্লান হওয়ার নয়।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত