একটি অভ্যাস যা আপনার জীবনকে পুরো পাল্টে দিতে পারে—পেশাগতভাবে, ব্যক্তিগতভাবে এবং এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও। সফল ব্যক্তিদের জীবনের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাদের জীবন পাল্টে দিয়েছে ‘সেলফ এডুকেশন’ বা স্বশিক্ষা। বেশির ভাগ মানুষ অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার পরে মনে করে এবং বিশ্বাস করে তাদের পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সত্য হচ্ছে পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিজ, সামাজিক নিয়ম-কানুন দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আপনি যদি শিক্ষা গ্রহণ করা থামিয়ে দেন, তাহলে পিছিয়ে পড়বেন। বিশ্বখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রের বক্তব্য অবলম্বনে জানিয়ে দিচ্ছি জীবনকে ইতিবাচকভাবে পাল্টানোর জন্য নিজেকে কীভাবে স্বশিক্ষিত করে তুলবেন।

আত্ম-উন্নয়নের জন্য স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা থাকা একজন মানুষের প্রথম ও প্রধান গন্তব্য হওয়া উচিত। এজন্য স্বশিক্ষিত প্রচেষ্টা কখনোই থামিয়ে দিতে নেই। স্বশিক্ষিত অর্থ শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন নয়, এর অর্থ হলো আপনি পরিবর্তীত পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেবেন তার প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ওই পরিস্থিতি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা কতটা আন-প্রেডিকটেবল সেটা মূল বিষয় নয়। আপনি যদি সত্যিই উন্নতি করতে চান তাহলে আপনার জানতে হবে, আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান। 

নতুন যে শিক্ষা গ্রহণ করবেন, সেটা আপনাকে কতটুকু বদলাতে পারবে আগে বুঝুন। আপনি যদি একটি নতুন ভাষা শিখতে শুরু করেন, এটা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে আপনার গন্তব্য এমন হওয়া উচিত যেখানে পৌঁছানো সত্যিকার অর্থেই আপনার জন্য সম্ভব। যেমন: আপনি একটি নতুন ভাষা শিখতে চান, শুরুতে প্রতিদিন পাঁচটি শব্দ শিখতে পারেন। এরপর প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন বেসিক বা প্রাথমিক বাক্যগুলো নিয়ে। কিছু সময় ওই ভাষা শোনার জন্য ব্যয় করতে পারেন। এই ছোট ছোট অভ্যাস একদিন আপনাকে একটি নতুন ভাষা শিক্ষার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।

আরো পড়ুন:

নিজের সেরা ভার্সন হতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরামর্শ জেনে নিন

ঠোঁটে কালো দাগ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

এ ছাড়া প্রতিটি ধাপে ধাপে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটু একটু কাজ এগিয়ে নিতে পারেন। যেমন—অনলাইনে দুই মাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন।  একটি বই তিন সপ্তাহে পড়ে ফেলতে পারেন। 

গন্তব্যকে কখনও কঠিন মনে করবেন না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যান। দিনের একটি নির্ধারিত সময় বই পড়ুন। আপনি আপনার বোঝাপড়াকে দিনকে দিন এগিয়ে নিতে থাকুন। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জন য আপন র জ র জ বন

এছাড়াও পড়ুন:

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু

বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”

চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”

চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”

১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”

১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ