যে অভ্যাসটি আপনার জীবনকে আমূল পাল্টে দিতে পারে
Published: 20th, April 2025 GMT
একটি অভ্যাস যা আপনার জীবনকে পুরো পাল্টে দিতে পারে—পেশাগতভাবে, ব্যক্তিগতভাবে এবং এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও। সফল ব্যক্তিদের জীবনের ইতিহাস থেকে জানা যায়, তাদের জীবন পাল্টে দিয়েছে ‘সেলফ এডুকেশন’ বা স্বশিক্ষা। বেশির ভাগ মানুষ অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা শেষ করার পরে মনে করে এবং বিশ্বাস করে তাদের পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সত্য হচ্ছে পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিজ, সামাজিক নিয়ম-কানুন দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আপনি যদি শিক্ষা গ্রহণ করা থামিয়ে দেন, তাহলে পিছিয়ে পড়বেন। বিশ্বখ্যাত মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অপরাহ উইনফ্রের বক্তব্য অবলম্বনে জানিয়ে দিচ্ছি জীবনকে ইতিবাচকভাবে পাল্টানোর জন্য নিজেকে কীভাবে স্বশিক্ষিত করে তুলবেন।
আত্ম-উন্নয়নের জন্য স্বশিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা থাকা একজন মানুষের প্রথম ও প্রধান গন্তব্য হওয়া উচিত। এজন্য স্বশিক্ষিত প্রচেষ্টা কখনোই থামিয়ে দিতে নেই। স্বশিক্ষিত অর্থ শুধুমাত্র জ্ঞান অর্জন নয়, এর অর্থ হলো আপনি পরিবর্তীত পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেবেন তার প্রস্তুতি গ্রহণ করা। ওই পরিস্থিতি কতটা ঝুঁকিপূর্ণ কিংবা কতটা আন-প্রেডিকটেবল সেটা মূল বিষয় নয়। আপনি যদি সত্যিই উন্নতি করতে চান তাহলে আপনার জানতে হবে, আপনি কোথায় পৌঁছাতে চান।
নতুন যে শিক্ষা গ্রহণ করবেন, সেটা আপনাকে কতটুকু বদলাতে পারবে আগে বুঝুন। আপনি যদি একটি নতুন ভাষা শিখতে শুরু করেন, এটা আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। যোগাযোগ দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে আপনার গন্তব্য এমন হওয়া উচিত যেখানে পৌঁছানো সত্যিকার অর্থেই আপনার জন্য সম্ভব। যেমন: আপনি একটি নতুন ভাষা শিখতে চান, শুরুতে প্রতিদিন পাঁচটি শব্দ শিখতে পারেন। এরপর প্র্যাকটিস শুরু করতে পারেন বেসিক বা প্রাথমিক বাক্যগুলো নিয়ে। কিছু সময় ওই ভাষা শোনার জন্য ব্যয় করতে পারেন। এই ছোট ছোট অভ্যাস একদিন আপনাকে একটি নতুন ভাষা শিক্ষার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে।
আরো পড়ুন:
নিজের সেরা ভার্সন হতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পরামর্শ জেনে নিন
ঠোঁটে কালো দাগ হওয়ার কারণ ও প্রতিকার
এ ছাড়া প্রতিটি ধাপে ধাপে আপনি আপনার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটু একটু কাজ এগিয়ে নিতে পারেন। যেমন—অনলাইনে দুই মাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করতে পারেন। একটি বই তিন সপ্তাহে পড়ে ফেলতে পারেন।
গন্তব্যকে কখনও কঠিন মনে করবেন না। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যান। দিনের একটি নির্ধারিত সময় বই পড়ুন। আপনি আপনার বোঝাপড়াকে দিনকে দিন এগিয়ে নিতে থাকুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র জন য আপন র জ র জ বন
এছাড়াও পড়ুন:
‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন
সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট।
ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”
স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান
সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”
জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
ডা. জয়নব
তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।
ঢাকা/শান্ত