চিকিৎসকদের তোপের মুখে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক এম কে আই কাইয়ুম চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ পদে ডা. মির্জা এম হাসান ফয়সালকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি।

আজ রোববার দুপুরে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের ডা. আনারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো প্রজ্ঞাপন হয়নি।

ডা.

আনারুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালক কাইয়ুম চৌধুরীর পদত্যাগ চাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। তিনি ৩২ দিন ধরে ছুটিতে ছিলেন। রোববার তিনি বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং নিজের রুমে বসেন। তখন চিকিৎসকরা এর বিরোধিতা করেন। কাইয়ুম চৌধুরীর বহিষ্কারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি পরিচালনা পর্ষদ তাৎক্ষণিক বৈঠকে বসে এবং কাইয়ুম চৌধুরীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে নতুন মহাপরিচালক হিসেবে ডা. মির্জা ফয়সালকে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জুলাই মাসে কাইয়ুম চৌধুরী মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে দেশে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের দলটি ঢাকা ছেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশে আসে এই চিকিৎসক দল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু মানুষ হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারতীয় চিকিৎসক দলটি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। তারা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন এবং জটিল কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামত বিনিময় করেন।

ভারতীয় চিকিৎসকরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গৃহীত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইনস্টিটিউটের বার্ন কেয়ার ইউনিট ও ক্রিটিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে ভারত আরো চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হবে।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, দেশটির মেডিকেল টিমের এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সহানুভূতির চিরন্তন বন্ধনের প্রতিফল।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত
  • আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা