স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতির বিষয়টি এত দিন সবার মুখে মুখে থাকলেও আজ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো। মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামে।

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ১৪ আগস্ট যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, আসিফ মাহমুদ যত দিন এ পদ অলংকৃত করবেন অথবা এপিএস পদে বহাল রাখার অভিপ্রায় পোষণ করবেন, তত দিন এ নিয়োগ আদেশ কার্যকর থাকবে।

এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর এখন তাঁর জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ তুহিন ফারাবীকেও তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি অফিস করছেন না। উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তাঁকে অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত বছরের ২ অক্টোবর তুহিন ফারাবীকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায়। তাঁর নিয়োগের অফিস আদেশে বলা হয়েছিল, তুহিন ফারাবীর এ নিয়োগ হবে অস্থায়ী। উপদেষ্টা যত দিন এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন, অথবা যত দিন তাঁকে এ পদে রাখার ইচ্ছা পোষণ করবেন, তত দিন তিনি এ পদে বহাল থাকবেন। তাঁকে নিয়েও মন্ত্রণালয়ে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। তুহিন ফারাবী কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় মেডিকেল দলের সদস্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে আসছে ২৫০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ সুকুক

আগামী ডিসেম্বরে আসছে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ‘বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক’। এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আলোচ্য সুকুক সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২০টি উপজেলার পল্লী এলাকায় সড়ক উন্নয়ন, প্রশস্তকরণ, পুনর্বাসন ও ঢাল রক্ষণাবেক্ষণ এবং হাট-বাজার ও পর্যটন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রকল্প এলাকায় কৃষি-অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালন, গ্রামীণ এলাকার জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, পরিবহন ব্যয় ও সময় হ্রাস করা সম্ভব হবে। তাই, সুকুকটির নামকরণ ‘আইআরআইডিপিএনএফএল সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সুকুক’ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাজনৈতিক দলগুলোকে ৭ দিনের সময় দিল সরকার

সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার: ইসি আনোয়ারুল

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে ৭ম 'বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক' ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সভা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধীনে গঠিত শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি ড. মো. কবির আহাম্মদ। 

কমিটির সদস্যরা সুকুক ইস্যুর সম্মতি দিয়েছে। আলোচ্য প্রকল্পটির বিপরীতে ইজারা পদ্ধতিতে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ৭ বছর মেয়াদি সুকুক ইস্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে স্পেশাল পারপাস ভেহিকল (এসপিভি) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৪ হাজার কোটি টাকার মোট ছয়টি সুকুক ইস্যু করেছে।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ