ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স দুটির সনদের মান স্নাতকের (পাস) সমান করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার সকালে রংপুর নগরীতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বিভিন্ন নার্সিং ইনস্টিটিউট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নগরীর সাধারণ ডিপ্লোমা নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও ইন্টার্ন শিক্ষার্থীরা স্থানীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন। এরপর সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি রেজওয়ান হোসেন, শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক (পাস) কোর্সের সমমানের স্বীকৃতির জন্য দাবি জানিয়ে আসছি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৯ জুলাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও ২০ আগস্ট স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ যৌক্তিক দাবির পক্ষে নীতিনির্ধারকরা সহমত পোষণ করলেও
এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মানা না
হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দেওয়া হয় কর্মসূচি থেকে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি