বাগেরহাটের একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে শ্রমিক দলের এক নেতাসহ ১৮ জনকে ছয়টি ককটেলসহ গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

সোমবার (২১ এপ্রিল) গভীর রাতে সদর উপজেলার হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গৌতম কুমার মন্ডল বাদী হয়ে বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা ২-৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

আরো পড়ুন:

কৃষি জমিতে ‘বোমা বিস্ফোণ’, কৃষক আহত

শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো.

আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি, নাগেরবাজার ও আশপাশের এলাকায়। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, হযরত খানজাহান আলীর মাজার সংলগ্ন মোড়ে হোটেল জারিফে (আবাসিক) সেনাবাহিনীর একটি দল অভিযান চালায়। সেখান থেকে কয়েকজন দুষ্কৃতকারীকে ককটেলসহ আটক করে তারা। এসময় ২-৩ জন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক জব্দকৃত অবিস্ফোরিত ককটেল হেফাজতে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা স্বীকার করেন, এলাকায় আধিপত্য ও দখলবাজির জন্য হোটেলে ককটেল নিয়ে তারা গোপন বৈঠক করছিলেন। 

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, “শহরে আধিপত্য বিস্তার ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে হযরত খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠককালে ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬টি ককটেল উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার পুলিশ বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় বিষ্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে।”

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র ককট ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটে ৫ মাস ১০ দিন পর ক্লাস শুরু

৫ মাস ১০ দিন পর মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ক্লাস শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ক্লাস শুরু হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

মঙ্গলবার সকালে কুয়েটের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস পরিদর্শন করেছেন। 

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে উপাচার্য ক্লাস শুরুর নির্দেশ দেন। এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাদের আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে।

দুই দিন ধরে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সাধারণ শিক্ষার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কয়েক দফায় বৈঠক করেন।

কুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেছেন, উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ভিসি-প্রোভিসি এবং ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে তারা ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ‎আন্দোলনের মুখে কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ মে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ মে খুলনা ত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. হযরত আলী। ২২ মে তিনি উপাচার্যের পদ ত্যাগ করেন। এর দুই মাস দুই দিনের মাথায় ভিসি নিয়োগ হলেও কুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল ৫ মাস ১০ দিন। 

গত বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালীকে কুয়েটের উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যায় কুয়েটে যোগ দেন ড. মো. মাকসুদ হেলালী।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুয়েটে ৫ মাস ১০ দিন পর ক্লাস শুরু