চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। লালদীঘি মাঠে এটি হবে বলীখেলার ১১৬তম আসর। এ উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে তিন দিনের মেলা। বলীখেলার মূল পর্বের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ী বলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন। বলীখেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিবছর নগরের আন্দরকিল্লা থেকে কোতোয়ালি মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে প্রধান সড়কের দুই পাশে মেলা বসে। এ ছাড়া কেসি দে রোড ও লয়েল রোডের পুরো অংশে বৈশাখী মেলার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা। এবার নগরের আন্দরকিল্লা থেকে কোতোয়ালি মোড় পর্যন্ত প্রধান সড়কে বৈশাখী মেলার পসরা না বসানোর পরামর্শ দিয়েছে সিএমপি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবদুল জব্বার সওদাগরকে নিয়ে গবেষণা, লালদীঘি চত্বরকে আবদুল জব্বার সওদাগরের নামে নামকরণ, বলীখেলা চর্চায় একাডেমি প্রতিষ্ঠা, আবদুল জব্বার সওদাগরকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান ও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি নিয়ে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গ্রামীণফোনের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ বলেন, জব্বারের বলীখেলার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় আয়োজনে অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। গ্রামীণফোন আগেও এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ছিল। স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল গ্রামীণফোন সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই এমন আয়োজনের পাশে থাকতে চায়।

ইতিহাসবিদদের মতে, ব্রিটিশ শোষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে ১৯০৯ সালে স্থানীয় আবদুল জব্বার সওদাগর লালদীঘি মাঠে কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। পরবর্তী সময়ে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের মানুষের কাছে এটি ‘জব্বারের বলীখেলা’ নামে পরিচিতি পায়। লালদীঘি ময়দানে প্রতিবছর ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এই বলীখেলা। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বলীখেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও প্রধান বিচারক হাফিজুর রহমান, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি ও মো. শাহনেওয়াজ, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ এবং সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালী।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বল খ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কনসার্টের জন্য কত পারিশ্রমিক নেন অরিজিৎ

তাঁর সংগীতের সফর শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ থেকে। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিং ভারতের অন্যতম আলোচিত শিল্পী। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কনসার্টে গাওয়ার জন্য বেশি পারিশ্রমিক নেন। আসলে কত পারিশ্রমিক নেন গায়ক?

সম্প্রতি সুরকার মন্টি শর্মা পিংকভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন অরিজিতের পারিশ্রমিক নিয়ে। তিনি বলেন, ‘একটা সময় পরে অনেক কিছুর বিবর্তন হয়েছে। আগে গোটা একটা গান আমরা দুই লাখ রুপিতে শেষ করতাম। এর মধ্যে গোটা অর্কেস্ট্রা, ৪০ জন বেহালা বাদক, আরও অনেক কিছু থাকত। তারপর ধীরে ধীরে গানপ্রতি নিজের জন্য ৩৫ হাজার রুপি নিতে থাকলাম।’

এরপরই অরিজিতের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। মন্টি বলেন, ‘অরিজিৎ যখন আসত, তখন টানা ছয় ঘণ্টা আমার সঙ্গে একটা গান নিয়ে বসত। এখন ও একটি অনুষ্ঠানের জন্য দুই কোটি রুপি নেয়। তাই ওকে নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হলে দুই কোটিই দিতে হবে। আগে তো মানুষ বেতারে ও টিভিতেও গান শুনত। কিন্তু এখন তাদের কাছে ইউটিউব আছে। এখন গান শোনার মাধ্যম অনেক বড়। তাই অর্থের পরিমাণও এখন বেড়েছে। তাই এখন যদি ১৫-২০ লাখ টাকা দিয়ে একটা গান করি, তা হলে ৯০ শতাংশ স্বত্ব কিনে নেয় অডিও সংস্থা। এই অডিও সংস্থাগুলো এখন আয় করছে।’

আরও পড়ুনযার গানে মুগ্ধ অরিজিৎ সিং, কে এই এনজেল নূর? ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ