জাবিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি
Published: 23rd, April 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লেক খনন এবং মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে এই স্মারকলিপি দুটি প্রদান করেন প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর থেকে লেকগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ লেকেই পানি নেই। আর পানি না থাকায় সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে জলজ প্রাণী ও জীব-বৈচিত্রের উপর। বহু জলজ প্রাণী ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়েছে, উপকারী জলজ শ্যাঁওলাসহ নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। কিছু লেক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
আরো পড়ুন:
জাবিতে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি
জাবিতে যুক্ত হলো আরো চারটি ইলেকট্রিক কার্ট
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জলাশয় নোংরা থাকার কারণে মশার প্রজনন বৃদ্ধির পাশাপাশি মশার প্রজননে মিউটেশন ঘটছে। ফলে আগামী দিনে মশা আরো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টিকারী হতে বেশি সময় নেবে না।
স্মারকলিপিতে লেক কমিটির কাছে ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী ১০ দিনের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া লেকগুলো চিহ্নিত করে এর সবগুলো লিজিং বাতিল করতে হবে এবং লেক খননের কাজ শুরু করতে হবে; লেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনকে অতিসত্ত্বর মাস্টারপ্ল্যানের টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তাব করতে হবে; ড্রেনের নোংরা জল ও ময়লা যাতে লেকে গিয়ে না পড়ে সেজন্য ড্রেনের সঙ্গে লেকের সমস্ত কানেকশন ছিন্ন করতে হবে।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সার্বক্ষণিক লেকগুলোতে স্বচ্ছ জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে লেকের পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে; লেকে জলজ প্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; প্রতি বছর অতিথি পাখি আগমনের পূর্বে লেকগুলোতে অতিথি পাখিদের জন্য পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ আবাসস্থলের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
স্মারকলিপিতে মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এবং অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে দূর হচ্ছে না ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট উল্লেখ করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানের টেন্ডার আহ্বানের দাবি জানানো হয়েছে।
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে বিচার ও সংস্কারের বিষয়টি নির্বাচনের মতো গুরুত্ব না পাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক: এনসিপি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বিষয়টিকে ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলেছে দলটি।
আজ শুক্রবার রাতে এনসিপির এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহউদ্দিন সিফাত বিবৃতিটি পাঠিয়েছেন।
এনসিপির বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটি ‘সংসদ নির্বাচন’ বিষয়ে দলটিকে আস্থায় আনতে সফল হয়েছে সরকার। জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। কিন্তু বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ সংক্রান্ত আলোচনা যতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রধান দাবি তথা বিচার ও সংস্কার ততটুকু গুরুত্ব পায়নি। এটা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে মনে করে এনসিপি।
নির্বাচন প্রশ্নে সরকার কেবল একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে—এ কথা উল্লেখ করে এনসিপি আরও বলেছে, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, জুলাই সনদ কার্যকর করা এবং বিচারের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন গণ-অভ্যুত্থানকে স্রেফ একটি ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে পরিণত করবে এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন–আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করবে।
জনগণের দাবি তথা জুলাই সনদ রচনা ও কার্যকর করার আগে নির্বাচনের কোনো তারিখ ঘোষিত হলে তা জনগণ মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করেছে এনসিপি। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংস্কারের বিষয়গুলোর ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদ রচনা এবং কার্যকর করেই আসন্ন জুলাইকে যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করার উদ্যোগ নিতে সরকারকে জোর দাবি জানাচ্ছে এনসিপি।’
জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে জুলাই সনদ কার্যকর করা ও বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে এনসিপি।