জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) লেক খনন এবং মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেছে জাহাঙ্গীরনগর বাঁচাও আন্দোলন। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসানের কাছে এই স্মারকলিপি দুটি প্রদান করেন প্ল্যাটফর্মের শিক্ষার্থীরা। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক বছর থেকে লেকগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ লেকেই পানি নেই। আর পানি না থাকায় সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে জলজ প্রাণী ও জীব-বৈচিত্রের উপর। বহু জলজ প্রাণী ইতোমধ্যে নিশ্চিহ্ন হয়েছে, উপকারী জলজ শ্যাঁওলাসহ নানা ধরনের জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীরা ইতোমধ্যে ধ্বংস হয়েছে। কিছু লেক ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

জাবিতে অবিলম্বে নির্মাণ কাজ শুরুর দাবি

জাবিতে যুক্ত হলো আরো চারটি ইলেকট্রিক কার্ট 

গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, জলাশয় নোংরা থাকার কারণে মশার প্রজনন বৃদ্ধির পাশাপাশি মশার প্রজননে মিউটেশন ঘটছে। ফলে আগামী দিনে মশা আরো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টিকারী হতে বেশি সময় নেবে না।

স্মারকলিপিতে লেক কমিটির কাছে ছয়টি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- আগামী ১০ দিনের মধ্যে শুকিয়ে যাওয়া লেকগুলো চিহ্নিত করে এর সবগুলো লিজিং বাতিল করতে হবে এবং লেক খননের কাজ শুরু করতে হবে; লেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রশাসনকে অতিসত্ত্বর মাস্টারপ্ল‍্যানের টেন্ডার আহ্বানের প্রস্তাব করতে হবে; ড্রেনের নোংরা জল ও ময়লা যাতে লেকে গিয়ে না পড়ে সেজন্য ড্রেনের সঙ্গে লেকের সমস্ত কানেকশন ছিন্ন করতে হবে।

অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সার্বক্ষণিক লেকগুলোতে স্বচ্ছ জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে লেকের পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে; লেকে জলজ প্রাণী সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; প্রতি বছর অতিথি পাখি আগমনের পূর্বে লেকগুলোতে অতিথি পাখিদের জন্য পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ আবাসস্থলের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। 

স্মারকলিপিতে মাস্টারপ্ল্যানের অভাবে এবং অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের কারণে দূর হচ্ছে না ক্লাসরুম ও ল্যাব সংকট উল্লেখ করে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে মাস্টারপ্ল্যানের টেন্ডার আহ্বানের দাবি জানানো হয়েছে।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।

সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • প্রকৌশল পেশাজীবীদের দাবি পূরণে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক
  • এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের