ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ানকে আটক করেছেন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্যরা। আটক বিএসএফ সদস্যের মুক্তির জন্য দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই খবর জানিয়েছেন।

পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ সদস্যের নাম পি কে সিং। তিনি ১৮২তম ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে বুধবার তাঁকে আটক করা হয়।

আটক বিএসএফ জওয়ানকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে বলে দেশটির কর্মকর্তারা আশা করছেন।

আটকের সময় পি কে সিং জওয়ানের পোশাক পরা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বিএসএফের রাইফেল ছিল। তিনি ফিরোজপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কৃষকদের সঙ্গে ছিলেন। একটা পর্যায়ে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যান। তখন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বিএসএফ জওয়ানের মুক্তি নিশ্চিত করতে উভয় বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক চলছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। অতীতে উভয় পক্ষের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

তবে এমন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটল, যখন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মঙ্গলবার বিকেলে বন্দুকধারীদের হামলার পর উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের প্রায় সবাই ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটক।

হামলার পরদিন বুধবার ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে ভারতের সব উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এ ছাড়া একতরফাভাবে ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হলে তা হবে যুদ্ধের শামিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত র ব এসএফ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা