ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করা যাবে না অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স
Published: 25th, April 2025 GMT
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করা যাবে না অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ সুবিধা। মেটার এ সিদ্ধান্তের ফলে অ্যাপলের ‘রাইটিং টুলস’ ও ‘জেনমোজি’র মতো বিভিন্ন সুবিধা অ্যাপগুলোতে ব্যবহার করতে পারবেন না আইফোন ব্যবহারকারীরা।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা বন্ধের বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করে ব্রাজিলের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্লগ সর্সারারহাট টেক। ব্লগটিতে প্রকাশিত স্ক্রিনশট অনুযায়ী, মেটার মালিকানাধীন অ্যাপগুলোতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের অধিকাংশ অ্যাপেই ডিফল্টভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত থাকে। তবে চাইলে অ্যাপ নির্মাতারা এসব সুবিধা অকার্যকর করতে পারেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই মেটা তাদের অ্যাপগুলোতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধার সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছে।
মেটার এ সিদ্ধান্তের ফলে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কি–বোর্ড স্টিকার বা মিমোজি ব্যবহারের সুবিধাও আইফোন থেকে পাওয়া যাবে না। তবে মেটার নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সব সুবিধা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করতে পারবেন আইফোন ব্যবহারকারীরা।
প্রযুক্তিজগতে মেটা ও অ্যাপলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন নয়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সে মেটার তৈরি ‘এললামা’ এআই মডেল যুক্ত করার বিষয়ে এক সময় আলোচনা করেছিল অ্যাপল ও মেটা। তবে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিয়ে মতবিরোধের কারণে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। অ্যাপ স্টোরের নীতিমালা, বিজ্ঞাপন নীতির স্বচ্ছতা ও ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অ্যাপল ও মেটার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। মেটার সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্ত সেই বিরোধকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
সূত্র: নিউজ১৮
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ও হ য ব যবহ র কর টসঅ য প ফ সব ক
এছাড়াও পড়ুন:
‘বউ পেটানো’ অভিনেতার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন
সৈয়দা আলিজা সুলতানের সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরোজ খান। তাদের এই সংসার ভেঙে গেছে। আলিজা অভিযোগ করেছিলেন, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন ফিরোজ। কেবল তাই নয়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ছবিও প্রকাশ করেছিলেন। এরপর তোপের মুখে পড়েন ফিরোজ খান। নেটিজেনদের অনেকে তাকে ‘বউ পেটানো’ অভিনেতার তকমাও দেন।
প্রথম সংসার ভাঙার প্রায় দুই বছর পর ডা. জয়নবের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ফিরোজ খান। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুঞ্জন ছড়িয়েছে। মূলত, বিনোদনভিত্তিক একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ডা. জয়নবের ইনস্টাগ্রাম পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়। তারপরই শুরু হয় ফিরোজ খানের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদের গুঞ্জন। দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে জয়নবের অভিযোগের স্ক্রিনশট।
ডা. জয়নব কথিত এই নোটে বলেন, “আমি আমার সহনসীমার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। অবিরাম মানসিক চাপ ও উদ্বেগে ক্লান্ত। এমন একজন মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে আছি, যে আমাকে বিশ্বাস করে না। আমি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমি এখন ক্লান্ত। প্রতিটি কথোপকথন একটা লড়াইয়ের মতো লাগে, প্রতিটি মতবিরোধ যেন যুদ্ধ। এমন আচরণের শিকার হয়ে আমি ক্লান্ত। আমি যখন তাকে কিছু বলি, সে আমার উপর রাগ ঝাড়ে।”
স্ত্রী জয়নবের সঙ্গে ফিরোজ খান
সুখ স্মৃতিগুলো কষ্টে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। এমন মন্তব্য করে জয়নব বলেন, “সত্যি বলতে, আমরা একসঙ্গে যে স্মৃতিগুলো তৈরি করেছিলাম, তা এখন কষ্ট ও আঘাতে ঢাকা পড়ে গেছে। আমি অসংখ্যবার তাকে ক্ষমা করেছি। কিন্তু সেই ক্ষতগুলো কখনো পুরোপুরি সারেনি। বুঝতে পারছি, আমি এক ধরণের মানসিক অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি, একটা সম্পর্কে আটকে আছি, যা আমার জীবনের শক্তি শুষে নিচ্ছে। আমি জানি, আমি এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। আমি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কোমলতার যোগ্য। সবকিছু ঠিক আছে—আমি আর এই ভান করতে চাই না।”
ডিভোর্সের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে জয়নব বলেন “এমন বিষাক্ত একটা সম্পর্কের জন্য আমি আমার সুখ ত্যাগ করেছি। আমি এখন নিজের জন্য, নিজের মানসিক সুস্থতার জন্য দাঁড়াচ্ছি। বেদনা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে, আমি আমার জীবনের এই অধ্যায় (বিবাহিত জীবন) শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি ডিভোর্স নিচ্ছি। কারণ আমি জানি, এর চেয়ে ভালো কিছু পাওয়ার যোগ্য। জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর জন্য আমি প্রস্তুত, যেখানে আমাকে মূল্য দেওয়া হবে, সম্মান করা হবে, ভালোবাসা হবে।”
জয়নবের এই ‘ডিভোর্স নোট’ নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, তখন মুখে কুলুপ এঁটেছেন ফিরোজ খান। তবে এর আগে ফিরোজ খানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে দেখা যায়। তাতে জয়নবের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেইল’ ও ‘মানসিক চাপের’ অভিযোগ তোলেন। যদিও পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পাশাপাশি এই অভিনেতা জানান, তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছিল।
ডা. জয়নব
তবে সংসার ভাঙার গুঞ্জনে সরাসরি কোনো বক্তব্য দেননি ফিরোজ খান কিংবা তার স্ত্রী ডা. জয়নব। তবে বিনোদনভিত্তিক যে পেজ থেকে জয়নবের ‘ডিভোস নোট’ ছড়ানো হয়েছে, সেই পোস্টে মন্তব্য করেছেন তিনি। তাতে জয়নব লেখেন, “এই ধরনের পেজগুলো আনফলো করুন অথবা রিপোর্ট করুন। এই ধরনের পেজ থেকে ভুয়া খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিরক্ত করা হচ্ছে। সত্যি বলছি, আমি জানি না কীভাবে তারা আমার স্টোরিতে পোস্টটি করার অ্যাকসেস পেয়েছে। এই পোস্ট আমি কখনো করিনি।”
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম স্ত্রী সৈয়দ আলিজা সুলতানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয় ফিরোজ খানের। এ সংসারে সুলতান খান ও ফাতিমা খান নামে দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে দুই সন্তানের দায়িত্ব নিয়ে আদালতে মামলা লড়ছেন এই প্রাক্তন দম্পতি। ২০২৪ সালে ডা. জয়নবকে বিয়ে করেন ফিরোজ খান।
ঢাকা/শান্ত