ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করা যাবে না অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ সুবিধা। মেটার এ সিদ্ধান্তের ফলে অ্যাপলের ‘রাইটিং টুলস’ ও ‘জেনমোজি’র মতো বিভিন্ন সুবিধা অ্যাপগুলোতে ব্যবহার করতে পারবেন না আইফোন ব্যবহারকারীরা।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা বন্ধের বিষয়টি প্রথম শনাক্ত করে ব্রাজিলের প্রযুক্তিভিত্তিক ব্লগ সর্সারারহাট টেক। ব্লগটিতে প্রকাশিত স্ক্রিনশট অনুযায়ী, মেটার মালিকানাধীন অ্যাপগুলোতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধা নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় পক্ষের অধিকাংশ অ্যাপেই ডিফল্টভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর বিভিন্ন সুবিধা যুক্ত থাকে। তবে চাইলে অ্যাপ নির্মাতারা এসব সুবিধা অকার্যকর করতে পারেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই মেটা তাদের অ্যাপগুলোতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স সুবিধার সমর্থন বন্ধ করে দিয়েছে।

মেটার এ সিদ্ধান্তের ফলে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কি–বোর্ড স্টিকার বা মিমোজি ব্যবহারের সুবিধাও আইফোন থেকে পাওয়া যাবে না। তবে মেটার নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সব সুবিধা ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করতে পারবেন আইফোন ব্যবহারকারীরা।

প্রযুক্তিজগতে মেটা ও অ্যাপলের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নতুন নয়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাপল ইন্টেলিজেন্সে মেটার তৈরি ‘এললামা’ এআই মডেল যুক্ত করার বিষয়ে এক সময় আলোচনা করেছিল অ্যাপল ও মেটা। তবে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নিয়ে মতবিরোধের কারণে সেই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। অ্যাপ স্টোরের নীতিমালা, বিজ্ঞাপন নীতির স্বচ্ছতা ও ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে অ্যাপল ও মেটার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। মেটার সাম্প্রতিক এ সিদ্ধান্ত সেই বিরোধকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

সূত্র: নিউজ১৮

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইনস ট গ র ম ও হ য ব যবহ র কর টসঅ য প ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি উপাচার্য-প্রক্টরসহ ৩ জনকে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহম্মদ মুহসিন হলে নিজের সিট ফিরে পাওয়াসহ তিন দফা দাবিতে উপাচার্য, প্রক্টর ও হলটির প্রাধ্যক্ষ বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

ওই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের আলোচিত ভিপি পদপ্রার্থী জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালাল। 

আরো পড়ুন:

রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল, উত্তাল রাতের ক্যাম্পাস

চাকসু: ৩ পদ শূন্য রেখে বামপন্থিদের ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) স্বাক্ষরিত এক আইনি নোটিশে তিনি ঢাবি প্রশাসনের কাছে তিন দফা দাবি জানান।

জালাল আহমদ অভিযোগ করে জানান, হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতাদের মদদে তার ওপর মব হামলাও চালানো হয়। কিন্তু তদন্ত ছাড়াই হল প্রাধ্যক্ষ তাকে বহিষ্কার করেন এবং প্রশাসন তার নামে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করে।

এর আগে, হলের রুমমেটকে মারধর এবং ভাঙা টিউবলাইট দিয়ে আঘাত করার ঘটনায় জালাল আহমদ ওরফে জ্বালাময়ী জালালের বিরুদ্ধে ‘হত্যাচেষ্টা’ মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন এবং ২৭ আগস্ট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে মুক্ত হন জালাল।

ওই শিক্ষার্থীর দাবিগুলো হলো— হামলার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি ও প্রশাসনের ক্ষমা প্রার্থনা; অবৈধভাবে বাতিল হওয়া তার বৈধ সিট ফেরত দেওয়া; বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বহিরাগত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদ করা।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ