পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, “সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষাসহ  অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “সম্প্রীতির বন্ধনে মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে সাথে নিয়ে দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই।”

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের হলরুমে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট ও  পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং মোনঘরের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বৌদ্ধ সংস্কৃতি বিকাশে করণীয় শীর্ষক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.

) সুপ্রদীপ চাকমা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, “বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের জন্য সব দরজা খুলে রেখেছে।পাহাড়িরা কৃষি বিভাগের উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে রয়েছে। আমাদের গরীব থাকার  কথা না। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে।”

সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার কফি ও কাজুবাদাম ফলনকে ব্যাপকভাবে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।”

প্রয়োজনে সমতল থেকে এক্সপার্ট এনে কাজ করানো হবে বলে জানান উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।

উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “আমরা পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ আর পিছনে থাকতে চাই না‌। দেশের মেইনস্ট্রিমের সাথে মিশে যেতে চাই।”

তিনি বলেন, “সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমাজের প্রতি অবদান রাখতে হবে। সমাজ ধর্ম ও রাষ্ট্রকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টা ও সেনাপ্রধান সম্প্রীতির বন্ধনে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখানে সবাইকে একাত্ম হতে হবে। মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করে যাচ্ছে।”

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, “১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাধের মাধ্যমে পার্বত্য এলাকার জনগণের যে ক্ষতি হয়েছে তা ভুলে গিয়ে সম্ভাবনাময় কাপ্তাই লেককে কাজে লাগাতে হবে।কাপ্তাই লেককে ডেভেলপ করতে হবে। কাপ্তাই লেকের মাছ আহরণ করে অর্থনৈতিকভাবে দেশের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব।

বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ভবেশ চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ তত্ত্ববিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, মং সার্কেল রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট বোর্ডের ট্রাষ্টি  রাজিব কান্তি বড়ুয়া।

সেমিনারে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্যামল মিত্র চাকমা প্রমুখ।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট কল য ণ

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ