রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে ১২টা ও দুপুর আড়াইটা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ দুই শিফটে রাবিসহ পাঁচটি বিভাগীয় কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো.

আখতার হোসেন মজুমদার সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

শিবিরনেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামিকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম

কৃষিবিদদের বৈষম্য নিরসনের দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

জানা গেছে, ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৮ হাজার ৮২০ জন। প্রথম শিফটে ৪৮ হাজার ১১০ জনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৬১৯ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২১ হাজার ৬৫৮ জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬ হাজার ৭৬৭ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪ হাজার ১৪৩ জন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ২ হাজার ৯২৩ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে রাবি কেন্দ্রে উপস্থিতির শতকরা হার ছিল ৮৮.২৮।

পরীক্ষার দ্বিতীয় শিফটে ৫০ হাজার ৭১০ জনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ১২ হাজার ৬১৯ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ১ হাজার ৫৮২ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ২১ হাজার ৬৫৮ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ৩৬৮ জন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ৬ হাজার ৭৬৬ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ৪৩১ জন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ৪ হাজার ১৪২ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ১৮৭ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে বিজ্ঞান গ্রুপের ২ হাজার ৯২৩ জন ও অ-বিজ্ঞান গ্রুপের ৩৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে রাবি কেন্দ্রে উপস্থিতির শতকরা হার ছিল ৮৮.১১।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা বিবেচনা করে এবার ভর্তি পরীক্ষা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জন ও অ ব জ ঞ ন গ র প র পর ক ষ র অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

বছরে ৬ লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম

দেশে বছরে গড়ে জন্ম নিচ্ছে প্রায় ৬ লাখ অপরিণত (প্রিম্যাচিওর) শিশু। জন্মের সময় গর্ভকাল পূর্ণ না হওয়ায় এসব নবজাতকের ঝুঁকি থাকে নানা জটিলতায় পড়ার, এমনকি মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে বেশি। তাই নবজাতকদের মৃত্যু হ্রাসে অপরিণত নবজাতক জন্ম প্রতিরোধে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। 

সোমবার শহীদ ডা. মিল্টন হলে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওন্যাটোলজি বিভাগ ও সেভ দ্যা চিলড্রেন আয়োজিত সভায় এই তথ্য জানানো হয়। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদেকা চৌধুরী মনি। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইসমত জাহান। তিনি বলেন, মা ও অপরিণত নবজাতকদের জীবন রক্ষাকারী প্রকল্প সেভিং উইমেন এন্ড প্রিমেচিউর বেবিজ বা সোয়াপের মাধ্যমে দেশের পাচঁটি হাসপাতাল  মা ও নবজাতক সেবা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৬৫ হাজার গর্ভবতী মা ও ৮৭ হাজার নবজাতককে সেবা পেয়েছে। দেড় হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো ভায়ু বাবল সিপ্যাপ, ফ্যামিলি সেন্টার কেয়ার, ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার, নিওনেটালি লাইভ ইত্যাদিকে সফলভাবে প্রয়োগ করে নবজাতকদের জীবন রক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে।

বিএমইউর নিওনাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বাংলাদেশে বছরে ৩০ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। যার মধ্যে শতকরা ২০ শতাংশই অপরিণত নবজাতক এবং বিশ্বের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। সেই হিসেবে বছরে অপরিণত ৬ লাখ শিশু জন্মায়। নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস পেলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি হাজার জীবিত জন্মে বর্তমানে নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ জন থেকে ১২ জনে কমিয়ে আনা। যদিও এই প্রকল্পের কার্যক্রমসহ সামগ্রিক প্রচেষ্টায় নবজাতকের মৃত্যুহার ২০ জনে কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

বিএমইউর ফিটোম্যাটার্নাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তাবাসসুম বলেন, নবজাতকের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো অপরিণত নবজাতকের জন্ম দান। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৩০ লাখ নবজাতকের জন্ম হয়। যার মধ্যে শতকরা ২০ শতাংশই অপরিণত নবজাতক এবং বিশ্বের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। গত ১০ বছর ধরে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়। এটি প্রতিরোধে আমাদের উদ্যোগ নেই। কেনো কমানো যাচ্ছে না এবিষয়েও কোনো গবেষণা হয় না। তবে সচেতনতা, প্রসূতি সেবা এবং মাতৃস্বাস্থ্য কার্যক্রম জোরদার করলে এ সমস্যা অনেকাংশে কমানো সম্ভব। অপরিণত শিশুর জন্মের পেছনে রয়েছে মাতৃস্বাস্থ্যের অবনতি, অপুষ্টি, সময়মতো প্রসবপরিচর্যার অভাব, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও প্রসবকালীন জটিলতা। এ ছাড়া ধূমপান, অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ সেবন এবং অল্প বয়সে গর্ভধারণও অন্যতম কারণ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) এর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, সোয়াপের মাধ্যমে নবজাতকদের পরিবার কেন্দ্রিক চিকিৎসা (ফ্যামিলি সেন্টারড কেয়ার-এফসিসি) মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় বিরাট অবদান রাখছে। এই পদ্ধতিকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৃহৎ আকারে কাজে লাগাতে পারলে সমগ্র স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর  অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর গবেষণা ও উন্নয়ন অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. আতিয়ার রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বছরে ৬ লাখ অপরিণত শিশুর জন্ম