প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর নির্বাচন: মামুনুল হক
Published: 27th, April 2025 GMT
নির্বাচনের চেয়ে সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, “খেলাফত মজলিস মনে করে, নির্বাচনের আগে দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে।”
রবিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে খেলাফত মজলিসের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, “আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন এবং গণহত্যাকারী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ২৪-এর বিপ্লবে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের সহায়তাকারী সব অঙ্গসংগঠন ও অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
আরো পড়ুন:
বিচার হলে আ.
‘হাসিনা ও আ.লীগের বিচার না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে’
ভারতের সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গোটা ভারত জুড়ে মুসলমানদের ওপর সাম্প্রদায়িক আগ্রাসনের পাঁয়তারা চলছে। সেখানে মুসলিমদের সম্পদ কেড়ে নেওয়ার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চালানো নৃশংস গণহত্যা এবং ভারতের মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গণজাগরণ গড়ে তুলতে হবে।”
খেলাফত মজলিস রংপুর জেলা শাখার এই গণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- দলটির মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি সারাফাত হোসাইন, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি কারী মোহাম্মদ আতাউল হক, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ম ন ল হক
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ