কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মির্জানগরের মীর আব্দুল করীম কলেজের খেলার মাঠ দখল করে নদী ভাঙন রোধ প্রকল্পের ব্লক নির্মাণ হচ্ছে। এতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি, খেলাধুলার পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, “এই মাঠে এক সময় প্রতিদিন বিকেলে খেলায় মেতে উঠত কিশোর-যুবকরা। আশেপাশের গ্রাম থেকেও এখানে বিভিন্ন দল খেলতে আসত। কিন্তু কয়েক মাস ধরে ঠিকাদার এই খেলার মাঠ দখল করে হাজার হাজার ব্লক তৈরি করছে। এ কারণে তাদের খেলাধুলা বন্ধ।”
কলেজ মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ইট-পাথর ও সিমেন্ট বালু দিয়ে বানানো ব্লকে উঁচু উঁচু ঢিপি তৈরি হয়েছে। আর মাঠের মাঝখানেই খোয়া ভাঙা মেশিন পড়ে আছে। মাঠের এক কোনে একটি সাইনবোর্ড। তা দেখে জানা যায়, পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলাধীন তালবাড়ীয়া এবং কুমারখালী উপজেলাধীন শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দি রক্ষা শীর্ষক প্রকল্পের জন্য ব্লকগুলো তৈরি করা হচ্ছে।
কলেজ প্রাঙ্গণে কীভাবে এই ব্লক বানানো হচ্ছে? কলেজ কর্তৃপক্ষের এতে লাভ কী? এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আহসান উল হক খান চৌধুরী বলেন, “কাজ শেষে হয়তো উনারা কলেজকে কিছু দেবেন। আপাতত আমরা মানবিক বিষয় মাথায় রেখে ব্লক তৈরির অনুমতি দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “পদ্মা ভাঙতে ভাঙতে কলেজের আঙিনায় চলে এসেছে। এসব ব্লক দিয়ে তো কলেজই রক্ষা করা হবে। সেসব বিষয় মাথায় রেখে বাচ্চাদের খেলার মাঠ জেনেও আমরা ব্লক বানানোর বিষয়ে কোনো আপত্তি করিনি।”
এ বিষয়ে ঠিকাদার সোহাগ মন্ডল বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেখানে ব্লক বানাচ্ছি। নদী থেকে ২০০ মিটার দূর পর্যন্ত তারই জমি। সেই বিবেচনায় এটি কলেজের জমি হলেও নদীরও জমি।”
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এভাবে কলেজের মাঠে ব্লক তৈরির কাজ করতে পারে কি না, জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, “ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোথায় ব্লক তৈরি করছে সেটা আমাদের জানার কথা না। আমরা শুধু তাদের কাছ থেকে ব্লক বুঝে নেব।”
কলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, “ওই কলেজে ব্লক বানানো হচ্ছে কি না আমার জানা নেই। আর যদি হয়ও সেটা আমাকে কেউ জানায়নি।”
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব লক ব ন ন ব লক ত র কল জ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।