দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা ছয়টি অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়লো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে শক্তিশালী দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো তারা।

ভুবনেশ্বর কুমার ও জশ হ্যাজেলউডের দুর্দান্ত বোলিংয়ে শুরু থেকেই দিল্লিকে চাপে ফেলে বেঙ্গালুরু। নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লির ইনিংস থামে মাত্র ১৬২ রানে, ৮ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে সবচেয়ে ভালো খেলেন লোকেশ রাহুল। তবে তার ৩৯ বলের ৪১ রানের ইনিংস ছিল যথেষ্ট ধীর। ঝলক দেখান ট্রিস্টান স্টাবস। তিনি মাত্র ১৮ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে করেন ৩৪ রান। শুরুটা ভালো করলেও ওপেনার অভিষেক পোরেল ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি। আর ফাফ ডু প্লেসি থেমে যান ২২ রানে। বেঙ্গালুরুর হয়ে ভুবনেশ্বর ৩টি ও হ্যাজেলউড ২টি উইকেট নেন।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা মোটেও স্বস্তির ছিল না বেঙ্গালুরুর জন্য। মাত্র ২৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় তারা। কঠিন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। দুজনের ৮৪ বলের ১১৯ রানের অসাধারণ পার্টনারশিপ দলকে জয়ের পথে ফিরিয়ে আনে।

কোহলি ৪৭ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে আউট হন। তবে ক্রুনাল পান্ডিয়া একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন অসাধারণ ইনিংস, ৪৭ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন অপরাজিত ৭৩ রান।

শেষদিকে মাঠে নামেন টিম ডেভিড। যিনি দ্রুতগতির ইনিংসে জয় নিশ্চিত করেন বেঙ্গালুরুর। ৫ বল মোকাবিলা করে ৩টি চার ও ১টি ছয়ে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিড। বিশেষ করে ১৯তম ওভারে টানা এক ছক্কা ও তিনটি চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তিনি।

১০ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে বেঙ্গালুরু। তারা শীর্ষে ওঠায় একধাপ করে নিচে নেমে গেছে গুজরাট টাইটান্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মতো দলগুলো।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ