Samakal:
2025-06-15@12:00:37 GMT

খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়

Published: 28th, April 2025 GMT

খাল-ফসলি জমির মাটি ইটভাটায়

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ফসলি জমি ও খাল থেকে দফায় দফায় মাটি কেটে স্থানীয় ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভেকু (এক্সক্যাভেটর) দিয়ে মাটি খননে খালের গতিপথ বদলে গেছে। এ চিত্র ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আধার মার টেক কালিপুর এলাকার। 
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদী-নালা, খাল-বিল থেকে সরকারি অনুমতি ছাড়া মাটি কাটায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রভাবশালীরা কোনো কিছুর তোয়াক্কা করছেন না। তারা ভেকু দিয়ে দফায় দফায় গভীর করে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া অর্থের বিনিময়ে দরিদ্র কৃষকদের ফসলি জমি থেকেও মাটি কেটে গভীর খাদে পরিণত করা হচ্ছে। 
কালিপুর এলাকায় দেখা যায়, ঘাগড়া খালের পাড়ে কৃষক রফিকের এক কানি জমি এবং খালের আরও দুই কানি জমির মাটি কাটা হয়েছে। এতে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এলাকাবাসীর ভাষ্য, পাশের কেবিএম-২ ইটভাটার মালিক মো.

মহসিন, মো. বখতিয়ার ও এখতিয়ারের লোকজন অপরিকল্পিতভাবে খালের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। একই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নিশ্চিন্তপুর পশ্চিম বিলে বিবিসি নামে একটি ইটভাটা রয়েছে। এর পাশের দুটি প্লট থেকে ১০ কানি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করা হয়েছে। 
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ রফিক বলেন, ঘাগড়া খালের পাড়ে সড়কের পাড়সহ তাঁর এক কানি কৃষি জমি থেকে ২০২২ সালে ও চলতি বছর গভীর করে মাটি কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। এতে ঘাগড়া খালের গতিপথ তাঁর জমির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ২০২২ সালে অভিযোগ দিলে চেয়ারম্যান ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার রায় দেন। মাটি ব্যবসায়ীরা তা মানেননি। তাই এ বছর থানায় অভিযোগ দেন। থানায় বৈঠক হলেও সুবিচার পাননি। উল্টো তাঁকে চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। 
আমির হামজা বলেন, তিনি এবার দেড় কানি জায়গায় ধান আবাদ করেন। ধান কেটে নোওয়ার আগে মাটি ব্যবসায়ীরা অন্তত এক কানি জমির মাটি জোর করে কেটে নিয়ে বিবিসি-২ এবং কেবিএম ইটভাটায় নিয়ে বিক্রি করেছে। 
কেবিএম-২ ইটভাটার স্বত্বাধিকারী মো. বখতিয়ার বলেন, জমির মালিকের কাছ থেকে মাটি কিনে তারা ইটভাটায় ব্যবহার করছেন। কারও জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি কেটে নেওয়া হয়নি। 
ইউএনও মো. কামরুল হাসানের দাবি,  অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দোষীদের জরিমানা করা হচ্ছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইট ভ ট ইটভ ট য়

এছাড়াও পড়ুন:

চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।

সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।

জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল চাষে কৃষকদের সফলতা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে খুলনা এলাকায় চুইঝালের চারা উৎপাদকারী একটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় উচ্চমূল্যের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সহায়তায় চুইঝালের চাষ শুরু করি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বাড়ির পাশে ৩৩ শতক জমি ৩ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এগুলোর চাষ শুরু করা হয়।’

শাহ আলমের দাবি, চুইঝাল চাষ শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে চলতি বছর দুই ধাপে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছেন।

সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সফল হওয়ার দাবি করেছেন প্রবাসফেরত শাহ আলম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’