রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা: তৃতীয় ধাপে ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের ডাক
Published: 29th, April 2025 GMT
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য আসন শূন্য রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির পরও আসন পূরণ না হওয়ায় তৃতীয় ধাপে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) শূন্যা আসনে ভর্তির জন্য ১৬৬৯ থেকে ২৩০০ মেধাক্রমের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সনদপত্রাদিসহ সাক্ষাৎকারের জন্য আসতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ১ম বর্ষ স্নাতক (শিক্ষাবর্ষ ২০২৪-২০২৫) কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা (লিখিত) গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফল মোতাবেক মেধানুসারে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে আসন খালি থাকায় ইতোপূর্বে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে মেধানুযায়ী তৃতীয় পর্যায়ে প্রার্থীদের ভর্তি করা হবে।
প্রার্থীদের করণীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাই কমিটি দ্বারা প্রার্থীদের সনদপত্রাদি যাচাইপূর্বক জমাদানের পর এদিনই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১০টায় প্রাপ্ত বিভাগ দেখে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি ১৮ হাজার ৫০০ টাকা রূপালী ব্যাংকের রুয়েট শাখায় একই দিন (২৯ এপ্রিল ) বেলা ২টার মধ্যে জমা প্রদান করে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুনজাপানে উচ্চশিক্ষা: যাত্রা শুরু করবেন কোথা থেকে, কীভাবে?২৮ এপ্রিল ২০২৫কোনও প্রার্থী ভর্তির দিন ভর্তি কার্যক্রম সমাপ্ত করে একই দিনে ভর্তির জন্য নির্ধারিত ফি কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে উল্লেখিত ব্যাংকে জমা দিতে পারবেন। এবার পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদসমূহের অধীন ১৪টি বিভাগে ১ হাজার ২৩০টি সাধারণ আসন রয়েছে। পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত ৫টি আসনসহ এক হাজার ২৩৫টি আসনে ভর্তি নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন৭ বৃত্তিতে বিদেশে পড়াশোনা, আবেদনের সুযোগ ২ দিন৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপ্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ বাড়ানোর উদ্যোগ, ভিন্নমত শিক্ষকদের১৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ