পলিথিনমুক্ত মডেল বাজার উপহার দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট বাজার কমিটিকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।

তিনি বলেন, “বাজার কমিটি ও সরকারি দপ্তরের সহযোগিতায় নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিকমুক্ত মডেল বাজার গড়া সম্ভব। এরকম বাজার গড়ে উঠলে কমিটিকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুরস্কার দেওয়া হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংগঠনকে যুক্ত করে কমিটি গঠন করুন।”

সচিব বলেন, “প্লাস্টিক ও পলিথিন দূষণ বন্ধে আগে নিজেকে বদলাতে হবে, পরে সমাজ বদলাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।”

মঙ্গলবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, নদী-খাল ভরাট হচ্ছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মানবদেহে প্রবেশ করছে। সরকার নিষিদ্ধ পলিথিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ অভিযান পরিচালনা করছে এবং পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানো ও বিকল্প পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পরিবেশ সচিব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে কঠোরভাবে ‘বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’ অনুসরণ করার নির্দেশ দেন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেন।

সভার সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু মূল প্রবন্ধে পলিথিনের ক্ষতি ও সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।

সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ, বন বিভাগ, সরকারি দপ্তর, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক, সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে মতামত দেন।

প্রধান অতিথি জানান, উপস্থাপিত মতামত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ পল থ ন ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ