ঢাকা প্রিমিয়ায়র ডিভশন ক্রিকেট লিগের ট্রফির অপর নাম যেন আবাহনী লিমিটেড। দেশের পট পরিবর্তনের পর আর্থিকসহ নানা সমস্যার মুখে পড়ে আকাশি নীল জার্সিধারী ক্লাবটি। তবু বদলায়নি মাঠের ক্রিকেটের পারফরম্যান্স। প্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে এবারের আসরের ট্রফিও নিজেদের শো-কেসে নিয়েছে আবাহনী। এটি ক্লাবটির ২৪তম ট্রফি।
ডিপিএলের রোল অব অনার (২০০০ সাল থেকে):
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | রানার্সআপ |
২০২৪-২৫ | আবাহনী | মোহামেডান |
২০২৩-২৪ | আবাহনী | মোহামেডান |
২০২২-২৩ | আবাহনী | শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব |
২০২১-২২ | শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব | লেজেন্ড অব রূপগঞ্জ |
২০১৯-২০ | আবাহনী | প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব |
২০১৮-১৯ আবাহনী লেজেন্ড অব রূপগঞ্জ
২০১৭-১৮ আবাহনী লেজেন্ড অব রূপগঞ্জ
২০১৬-১৭ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স প্রাইম দোলেশ্বর
২০১৫-১৬ আবাহনী প্রাইম দোলেশ্বর
২০১৪-১৫ প্রাইম ব্যাংক প্রাইম দোলেশ্বর
২০১৩-১৪ গাজী ট্যাংক শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব
২০১১-১২ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ওল্ডডিওএইচএস
২০১০-১১ আবাহনী মোহামেডান
২০০৯-১০ মোহামেডান বিমান বাংলাদেশ
২০০৮-০৯ আবাহনী সূর্যতরুণ
২০০৭-০৮ আবাহনী বিমান বাংলাদেশ
২০০৬-০৭ আবাহনী মোহামেডান
২০০৫-০৬ ওল্ডডিওএইচএস সোনারগাঁও ক্রিকেটার্স
২০০৪-০৫ ওল্ডডিওএইচএস সিটি ক্লাব
২০০২-০৩ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব মোহামেডান ও সিটি ক্লাব
২০০১-০২ ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব মোহামেডান
২০০০-০১ মোহামেডান আবাহনী
আরো পড়ুন:
‘কলঙ্কমুক্ত হলো কী না’ প্রশ্নে যা বললেন আবাহনী কোচ
টিম গড়া থেকে সবকিছুতেই চ্যালেঞ্জ ছিল, এ বছরের ট্রফি স্পেশাল: মোসাদ্দেক
* ২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে লিগ হয়নি
ঢাকা লিগের সফল ক্লাব:
ক্লাব শিরোপা
আবাহনী লিমিটেড ২৪ বার
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৯ বার
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬ বার
ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ৪ বার
ওল্ডডিওএইচএস ক্রিকেট ক্লাব ২ বার
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১ বার
গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স ১ বার
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১ বার
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১ বার
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১ বার
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ খ জ ম ল ধ নমন ড
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতার বাজারে পৌঁছালো বাংলাদেশের ইলিশ, আকাশ ছোঁয়া দাম
আবেগের কারণে চাহিদা আছে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের, তবে বাজার নষ্ট করেছে গুজরাটের ইলিশ। যে বাঙালি একবার ৫০০/৬০০ রুপির ইলিশ খেয়েছে সে সহজেই ১৭০০/২০০০ রুপির ইলিশ কিনবে না। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ কলকাতার বাজারে পৌঁছাতেই এমন অভিযোগ করছেন ভারতের মাছ ব্যবসায়ীরা।
আরো পড়ুন:
৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ভারতীয় জলসীমায় গ্রেপ্তার ১৩ বাংলাদেশি
জলবায়ু পরিবর্তনে বদলাচ্ছে রোগের চিত্র, বাড়ছে বিরল সংক্রমণ
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কলকাতার পাইকারি বাজারের হাত ধরে খুচরো বাজারে এসে গেল বহু প্রতীক্ষিত পদ্মার ইলিশ। প্রথম দিনে দাম ছিল তুঙ্গে, তাই কলকাতা ও শহরতলীর ক্ষুদ্র খুচরো ব্যবসায়ীদের মধ্যে পদ্মার ইলিশের চাহিদা ছিল তুলনামূলক কম।
প্রথম দফায় মঙ্গলবার রাতে ৮টি ট্রাকে ৩৮ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ বেনাপোল সীমান্ত বেরিয়ে ভারতে আসে। বৃহস্পতিবার সেই ট্রাক পৌঁছে যায় হাওড়ার পাইকারি বাজারে। এদিন সকাল থেকেই কলকাতা এবং হাওড়ার বাজারের খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা সেই মাছ সংগ্রহ করার জন্য নিলামে অংশ নেন। তবে প্রথম দিনের পাইকারি দামে হতাশ খুচরো ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মোটামুটি তারা প্রথম দিন পাইকারি বাজারে যে বাজারদর দেখছেন তাতে ৭০০ গ্রাম থেকে ১ কেজির ইলিশের দাম ১৫০০-১৭০০ রুপি। ১ কেজির বেশি ওজন হলে ১৮০০ থেকে ২০০০ রুপির মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে এই দাম বেশ কিছুটা বাড়বে। তবে এই দাম চূড়ান্ত নয়।
বাঘাযতীনের খুচরো মাছ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস বলেন, ১ কেজি সাইজের ইলিশ আমি ১৬০০ রুপি বলেছিলাম কিন্তু ওরা ১৭০০ রুপির নিচে দেবে না। খরচ দিয়ে বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং সেখানে কিছু বাড়তি দামে বিক্রি করা। এত দামি মাছ আমাদের বাজারে চলবে না।
তিনি আরো বলেন, পদ্মা ইলিশের ব্যাপক চাহিদা কলকাতার বাজারে ছিল, তবে বাজার নষ্ট করেছে গুজরাটের ইলিশ। যদি গুজরাটের ইলিশে বাজার সয়লাব না হতো তাহলে বাজার একই রকম থাকতো।
কাঁচরাপাড়ার খুচরো মাছ ব্যবসায়ী মনোজ কুমার সাউ বলেন, প্রথমদিন, দাম বেশি, তাই আমরা হিমশিম খাচ্ছি, গুজরাটের ইলিশের সঙ্গে দামের পার্থক্য প্রায় হাজার রুপি। তাই বাজারে চাহিদা বোঝার আগে বেশি পরিমাণে ইলিশ নেওয়ার সাহস পাচ্ছি না। অন্যান্য বছর যেখানে ৫০/১০০ কেজি মাছ নিই, এবার ২৯ কেজি নিচ্ছি। কারণ গুজরাটের দামের সঙ্গে আমি অ্যাডজাস্ট করতে পারব না। যে ক্রেতা একবার ৫০০/৬০০ রুপির ইলিশ খেয়েছে সে ২০০০ রুপির ইলিশ খাবে না। পদ্মার ইলিশের চাহিদা আছে তাই নিলে হয়তো চলবে, কিন্তু যে ক্রেতা দুই কেজি নিত সে হয়তো এক কেজি কিনবে।
উত্তর কলকাতার এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরও অভিযোগ, পদ্মার ইলিশের বাজার খারাপ করেছে গুজরাটের ইলিশ। তিনি বলেন, অনেক ক্রেতা আছে তারা শুধু বাংলাদেশের ইলিশ পছন্দ করে, তাই সব ক্রেতার চাহিদার কথাই মাথায় রেখে কম করে হলেও ইলিশ কিনতে হচ্ছে। তার আশা, পরপর আর কিছুদিন আসা শুরু হলে দাম কিছুটা হয়তো কমবে।
ইলিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ মাকসুদ আনোয়ার বলেন, বাংলাদেশে ইলিশের ল্যান্ডিং যথেষ্টই কম। তাই ইলিশ আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে করা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে গুজরাটের ইলিশ এবার ক্রেতাদের বিকল্প অপশন দিচ্ছে। ফলে যোগান ও চাহিদার উপর নির্ভর করে ইলিশের দাম বাড়তে ও কমতে পারে।
এই ব্যবসায়ীর আশঙ্কা, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১২০০ মেট্রিক টন আমাদানির অনুমতি দিলেও ৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। এত অল্প দিনে ৫০০ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ হয়তো তারা আমদানি করতে পারবেন না।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ