ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন গত ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভাত খাওয়া থেকে বিরত রয়েছেন। 

২০১৪ সালে মরহুম রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে রান্না করা খাবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফেলে দেন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ভাত খাওয়া বন্ধ করে দেন। 

এই সিদ্ধান্তের পর থেকে তার শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ধীরে ধীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে। সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলমান ছিল।

নিজাম উদ্দিনের এই ঘটনা সম্প্রতি বিএনপির মিডিয়া সেল তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করলে বিষয়টি নজরে আসে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। 

তার নির্দেশে বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা থেকে একটি প্রতিনিধিদল ফরিদপুরে নিজাম উদ্দিনের খোঁজখবর নিতে যান। সেই দলে ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা.

রফিকুল ইসলাম এবং ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহ্বায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন। 

তারা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে নিজাম উদ্দিনের উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় স্থানান্তরের ব্যবস্থা করেন। পরে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকার টিভি হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শাহজাহান আলী বলেন, “নিজাম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন। তার শারীরিক অবস্থা জটিল। আমরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আসছিলাম। তবে তার অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা প্রয়োজন ছিল। আমরা তার পরিবার ও দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

এসময় ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম কিবরিয়া স্বপনসহ জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, নিজাম উদ্দিন বিএনপি ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞায় অটল রয়েছেন। এতে তার শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়ে পড়ছে। এ কারণে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

নিজাম উদ্দিনের এই অবস্থা এবং তার প্রতিজ্ঞার বিষয়টি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

ঢাকা/তামিম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক কোর কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

আরো পড়ুন:

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানের সাক্ষাৎ, নির্বাচনি প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও প্রশাসনিক প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে না বলে আমরা আশা করি।” 

তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল ও উৎসবমুখর। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।” 

নিরাপত্তা ইস্যু—কার্গো অগ্নিকাণ্ড, অস্ত্র চুরির ঘটনা থেকে শুরু করে অস্ত্র উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিরোধী পক্ষ এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেও উপদেষ্টা জানান, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অতীতের নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কিছু বিতর্কিত ওসিদের পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে স্বীকার করলেও জানান, সীমাবদ্ধতার কারণে সবাইকে একযোগে বদলি করা সম্ভব হচ্ছে না। 

“যারা পরপর তিনটি নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা চলছে,” বলেন তিনি।

আলোচনায় উস্কানিমূলক বক্তব্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচারণা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। 

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং কেউ আইনের বাইরে গেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকা/এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ