সিসিডিবির তিন মাসব্যাপী ক্লাইমেট চেঞ্জ ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী
Published: 30th, April 2025 GMT
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরিতে খ্রিষ্টান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) তাদের ক্লাইমেট প্রোগ্রামের আওতায় সপ্তমবারের মতো তিন মাসব্যাপী একটি ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিং দিয়েছে।
বুধবার সিসিডিবি ক্লাইমেট সেন্টারে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ এডাপটেশন অ্যান্ড মিটিগেশন’ শীর্ষক এই ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিংয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
ঢাবি উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এমন একটি বিষয় যা ঠেকাতে প্রতিটি পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। এ ধরনের ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিং জনগণকে দক্ষ করে তুলতে আরও বেশি সহায়তা করবে।
সিসিডিবির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জুলিয়েট কেয়া মালাকার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বহু বছর ধরে সিসিডিবি কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে সপ্তমবারের মতো আমরা ফ্ল্যাগশিপ ট্রেনিং দিয়েছি।
বৈশ্বিকভাবে আবহাওয়া এবং জলবায়ুর যে বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে তা এক দিনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব না। আমরা চেষ্টা করছি এমন একটি জনগোষ্ঠী তৈরি করতে যারা জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জলব য়
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।