কম কাজ করেও টাকা কামানো যায়, যদি সুগার ড্যাডি থাকে: ফারিয়া শাহরিন
Published: 2nd, May 2025 GMT
লাক্স চ্যানেল সুপারস্টার তারকা ফারিয়া শাহরিন। তবে সবাই তাকে এখন কাজর আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের অন্তরা নামেই চেনেন। ইতোমধ্যে ৪ টি ধারাবাহিক দেখে ফেলেছে দর্শকেরা, এবার আসছে এর সিজন ফাইভ। এই সিজনেও অভিনেত্রী ফারিয়া শাহরিনকে দেখা যাবে।
সম্প্রতি নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারিয়া শাহরিন। সেখানে ক্যারিয়ার, কাজ, শুটিং, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ নানা কিছু নিয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী। জানালেন, খুব তাড়াতাড়িই ব্যাচেলর ফাইভের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি।
এর বাইরে মিডিয়াতে অভিনেত্রীদের নিয়ে ওঠা নানা বিতর্ক নিয়েও মুখ খোলেন তিনি, বিশেষ করে অভিনেত্রীদের আয়ের উৎস নিয়ে ওঠে নানান কথা। সে বিষয়ে ফারিয়া বোঝাতে চাইলেন, অন্যদের মতো তার নিজের এখনও গাড়ি-বাড়ি নেই।
ফারিয়া শাহরিন বলেন, ‘মিডিয়াতে থাকলে আসলে টাকা কামানো যায়, এটা ভেরি ট্রু। কিন্তু বাংলো, গাড়ি বাড়ি- আমার আসলে এসব কিছুই নেই। আমার মতো যারা কম কাজ করেছে, বা খুব সততার সঙ্গে কাজ করেছে তাদের পক্ষে আসলে এত টাকা কামানো সম্ভব না, যদি না সুগার ড্যাডি থাকে।’
ফারিয়া শাহরিন আরও বলেন, ‘তাই আমার ক্ষেত্রে এ জন্য কোনো টাকা পয়সা নেই। আমার কোনো গাড়ি নেই, সারাজীবন বাপের গাড়িতে চড়েছি, আমার নিজের কোনো বাড়ি নেই। আর ভবিষ্যতেও কোনো সুগার ড্যাডি হওয়ার সম্ভাবনা একশো ভাগও নেই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জেড আই খান পান্না। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
বক্তব্যে জেড আই খান পান্না বলেন, ‘এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি সবচেয়ে বেশি সংখ্যালঘু। আজ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা দেখি, জুতা দিয়ে বাড়ি দিতে দেখি, কিন্তু কিছু করতে পারি না। তাই আমি সবচেয়ে বড় অসহায়।’
এসব কথা বলতে বলতে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি। যাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করেন, তাঁদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
জেড আই খান পান্না আরও বলেন, ৩০ লাখ শহীদ আর ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, কারও সঙ্গে এর তুলনা চলে না। এটা সাম্প্রদায়িকতার দেশ না। সংবিধানে যেন কেউ হাত না দেয়। সরকারের অনেকেই বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখাচ্ছেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার যেন নিঃশেষ হয়ে গেছে। সমাজে ন্যায়বিচার বা সুবিচার পাওয়ার কথা থাকলেও তা মিলছে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিচার হয় না। কেউ কেউ ধরা পড়লেও পরে বেরিয়ে যায়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, সব সরকারের আমলেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত। বর্তমান নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও সবচেয়ে বেশি উপেক্ষিত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী। সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘুদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় হামলা হলেও সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া আসে না, এমনকি দুঃখও প্রকাশ করে না।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ শুরু হলে তা দমন করতেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে উল্লেখ করে সুমন কুমার দাবি করেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সনাতনী সম্প্রদায়ের বাক্স্বাধীনতা বন্ধ করতে, নেতৃত্ব দমন করতে এসব করা হচ্ছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জে কে পাল। সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের বাংলাদেশ চ্যাপটারের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।