প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে ‘দাগি’ সিনেমায় গাওয়া ‘নিয়ে যাবে কি’ এবং ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন-২’ সিরিজের ‘বৈয়াম পাখি-২’ গান নিয়ে শ্রোতাদের আলোচনা এখনও চলছে। তার মাঝে নতুন একক গান প্রকাশ করলেন কণ্ঠশিল্পী জেফার রহমান। শিরোনাম ‘তীর’।
সংগীতায়োজক আদিব কবিরের সঙ্গে যৌথভাবে এ গানের কথা লিখেছেন জেফার। পাশাপাশি সুরও করেছেন শিল্পী নিজে। মিউজিক ভিডিও পরিচালনা করেছেন পার্থ শেখ।
সম্প্রতি জেফারের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করা হয়েছে। এ আয়োজন নিয়ে জেফার বলেন, ‘বাংলা গানে আরও নতুন মাত্রা যোগ করা যায় কিনা– সে ভাবনা থেকে ২০২১ সালে ‘তীর’-এর পরিকল্পনা। দীর্ঘদিন কথা, সুর, সংগীতের অনেক কাটাছেঁড়া শেষে তৈরি হয় গানটি। ২০২৪ সালে গানের শুরু হয় এর ভিডিও নির্মাণ। এককথায়, ‘তীর’ দীর্ঘদিনের এক নিরীক্ষার ফসল। যেখানে শ্রোতা আমাকে নতুন রূপে আবিষ্কারের সুযোগ পাবেন।’
এদিকে আরও বেশ কিছু নতুন গানের আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেফার। কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি গানের মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে দর্শক মনোযোগ কেড়েছেন তিনি। গত বছর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ ওয়েব সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় এসেছিলেন। এ বছর দর্শক-শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন-২’ সিরিজের অভিনেত্রী ও প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ফ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৮ মাসে দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত
ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিন। পেশাগত দায়িত্ব পালনের কারণে এই সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় বহু সাংবাদিককে সরাসরি নিশানা করে হত্যা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এ তথ্য জানিয়েছে।
মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ২০২৫ সালের বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচক প্রকাশ করেছে আরএসএফ। সংস্থাটি সেখানে জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর দেড় বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রথম ১৮ মাসেই ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে দুই শতাধিক সাংবাদিককে হত্যা করেছে। এসব সাংবাদিকদের মধ্যে অন্তত ৪২ জনকে হত্যা করা হয়েছে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময়।
প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি আরও বলেছে, গাজা উপত্যকায় আটকে পড়া সাংবাদিকেরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। খাদ্য, পানিসহ সবকিছুরই চরম সংকটে রয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া দখলকৃত পশ্চিম তীরে সাংবাদিকেরা নিয়মিত ইসরায়েলি বাহিনী এবং সেখানে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনকারীদের হাতে হয়রানি ও হামলার শিকার হচ্ছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে।
শুধু ইসরায়েলি বাহিনী নয়, গাজার সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ও ইসলামিক জিহাদও সেখানে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে আরএসএফ। সংস্থাটি বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছে তারা। পাশাপাশি ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের করা সাইবার অপরাধ আইনও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
আরএসএফের করা এবারের গণমাধ্যম স্বাধীনতার সূচকে ফিলিস্তিনের অবস্থান ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬৩তম। এই সূচকে ২০২৪ সালের তুলনায় ছয় ধাপ অবনমন ঘটেছে ফিলিস্তিনের। সংস্থাটি বলছে, এবার তালিকায় থাকা ১৮০টি দেশের মধ্যে ১১২টি দেশেই গণমাধ্যম স্বাধীনতায় অবনতি ঘটেছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে গড় নম্বর কমেছে ৫৫ পয়েন্ট, যা সূচকটি প্রকাশ করার পর থেকে সর্বনিম্ন।
গাজায় সাংবাদিক হত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) দ্বারস্থ হয়েছে আরএসএফ। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় সাংবাদিকদের ওপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে নেদারল্যান্ডসের হেগভিত্তিক এই আদালতে একাধিক অভিযোগ দাখিল করেছে সংস্থাটি।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় সাংবাদিক নিহতের পৃথক একটি হিসাব দিয়েছে ফিলিস্তিন সরকারের গণমাধ্যম ব্যুরো। সংস্থাটি বলেছে, গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় শুধু ২০২৪ সালেই দুই শতাধিক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।