সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণীকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচারকাজ নতুন করে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আসামিদের উপস্থিতিতে এসব মামলার প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে মামলা দুটি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারাধীন ছিল। আজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার এসব মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৩ মে দিন ধার্য করেন।

সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মামলা দুটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। প্রথম দিনের শুনানিতে অভিযুক্ত আট আসামি উপস্থিত ছিলেন। ১৩ মে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।

মামলার বাদীপক্ষের প্যানেল আইনজীবীর প্রধান শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলার ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পদে পদে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল। এমনকি উচ্চ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে আপিল দায়ের করা হয়েছিল, যা ছিল নজিরবিহীন ঘটনা।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ও র‍্যাব। পরবর্তী সময়ে আদালতে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় আট আসামির মধ্যে ছয়জনের ডিএনএর মিল পাওয়া যায়। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৫

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় স্বামীকে মারধর ও বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আজ রোববার দুপুরে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুক্তভোগী দম্পতি। রাতেই অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভেড়ামারার কালু প্রামাণিক (৪৬), মুর্শিদ শেখ (৪৫), টিটু মন্ডল ওরফে টিপু (৪২), এজাজুল (৪২) ও রুবেল আলী (২৪)।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী (২৪) ভেড়ামারা উপজেলার একটি খাবার হোটেলে রান্নার কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো গতকাল কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি স্বামীর সঙ্গে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ছয় থেকে সাতজন ভ্যানের গতি রোধ করেন এবং ওই দম্পতিকে মারধর করেন। এরপর স্বামীকে বেঁধে রেখে পাশের লিচুবাগানে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানার পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা রাতভর অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করেন।

ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর স্বামী পুলিশ হেফাজতে থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী নারী, তাঁর স্বামী ও ভ্যানচালকের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে তিনজন ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই নারীর শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হবে। ওই নারীর স্বামীর করা মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, গ্রেপ্তার ৫