ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ও ১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
Published: 7th, May 2025 GMT
পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সময় ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে (আইএসপিআর) মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে এই তথ্য দিয়েছেন।
সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে কোটলি, বাহাওয়ালপুর, মুজাফ্ফরাবাদ, বাঘ এবং মুরিদকে। এর আগে তারা পাঁচটি স্থান আক্রান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করছিলেন।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছে দিল্লি
বিবিসির বিশ্লেষণ: ভারত-পাকিস্তানের নেতাদের ‘বড় জুয়া’
অবশ্য ভারত সরকার বলছে, পাকিস্তান ও পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরের ৯টি সন্ত্রাসী স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে তারা। কোনো বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়নি। যদিও পাকিস্তানের আইএসপিআর বলছে, আক্রান্ত স্থাপনার মধ্যে একটি মসজিদ রয়েছে।
বুধবার (৭ মে) ভোরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আহমেদ শরিফ জানান, হামলায় আটজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৩৩ জন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী একটি জবাবদিহিমূলক ও সমন্বিত পাল্টা হামলা পরিচালনা করেছে।
নিরাপত্তা সূ্ত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন লিখেছে, পাকিস্তান আত্মরক্ষায় পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এসব বিমান পাকিস্তানি ভূখণ্ডে হামলার সময় ভারতীয় আকাশসীমা ব্যবহার করছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
ভূপাতিত বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফায়েল জেট, একটি মিগ-২৯ ও একটি সু-৩০। এ ছাড়া একটি ভারতীয় হেরন ড্রোনও গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী।
আহমেদ শরিফ বলেছেন, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বেশ কয়েকটি ভারতীয় পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্র বলছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী এখন ‘চূড়ান্ত ও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া’ দিচ্ছে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, ভারতের ১২তম ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার, যা ১৫ কোরের অধীনে নবম ডিভিশনের অংশ, সেটি পাকিস্তানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ ছাড়া দুধনিয়াল সেক্টরে এক শত্রু পোস্ট ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তানের আইএসপিআর।
পাকিস্তানের দাবি, তারা শুধু নিজস্ব সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষা করছে এবং এই আগ্রাসন সম্পূর্ণভাবে ভারতের উস্কানিমূলক পদক্ষেপের ফল।
আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ারুল হক ভারতের রাতের আক্রমণকে ‘কাপুরুষোচিত এবং অতীতের ধারার পুনরাবৃত্তি’ বলে বর্ণনা করে এর নিন্দা জানান। তিনি বলেন,
“ভারত তার পুরোনো কৌশল অনুযায়ী রাতে আজাদ কাশ্মীরের কোটলি ও মুজাফ্ফরাবাদে হামলা চালিয়েছে।”
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ প ত ত কর
এছাড়াও পড়ুন:
রাকসু নির্বাচন : কেন্দ্রে যাচ্ছে ব্যালট বাক্স-পেপার, ভোট শুরু সকাল ৯টায়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপারসহ ভোট গ্রহণের সরঞ্জাম কেন্দ্রে নেওয়া শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার পর থেকে রাকসুর কোষাধ্যক্ষ কার্যালয় থেকে এই সরঞ্জামগুলো সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িতে করে এই ব্যালট নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট গ্রহণ চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি একাডেমিক ভবন এবং একটি গেস্টহাউজসহ মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি; বুথ ৯৯০টি।
ভোটের সরঞ্জাম পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে পাঠানো হয়েছে। এ সময় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার জোনের ডিসি মমিনুল করিম বলেন, ভোটের সরঞ্জাম কেন্দ্রে যাচ্ছে। তারা তৎপর রয়েছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোট হবে।
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ ও নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হল রয়েছে ১৭টি। এর মধ্যে ছাত্র হল ১১টি এবং ছাত্রী হল ৬টি। ভোট গ্রহণ শেষে রাকসুর কোষাধ্যক্ষের কার্যালয়ে ভোট গণনা করা হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে।
আরও পড়ুনরাকসুর ভোট আজ, ৭২ বছরে নির্বাচন ১৬ বার ৪৭ মিনিট আগেসব ফটকে কড়া নিরাপত্তা
আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় সব ফটকে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সরবরাহ করা পরিচয়পত্র ছাড়া তারা কাউকেই ঢুকতে দিচ্ছেন না। আজ সকাল সোয়া সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এই চিত্র দেখা যায়। এই ফটক দিয়ে এই সময়ে প্রবেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন প্রবেশ করছিলেন। তিনি বলেন, ভোট দিতে যাচ্ছেন। সকাল সকাল ভোট দিতে চান।