বগুড়ার আদমদীঘিতে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারিসহ তিনজনকে মারধর ও হাত-পা বেঁধে মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা সেতু এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ছিনতাইকারীর কবলে পড়া ব্যক্তিরা হলেন- উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম রব্বানী, তার ছেলে মনিরুজ্জামান মারুফ (১৩) ও একই গ্রামের প্রবাসী রেজাউল ইসলামের ছেলে বকুল হোসেন (১৯)।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলা জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি গোলাম রব্বানী ও তার ছেলে মনিরুজামান মারুফ দুপচাঁচিয়া সরদারপাড়া থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি মটপুকুর ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নসরতপুর-বিহিগ্রাম সড়কের ধনতলা গ্রামে সেতুর সামনে পৌঁছালে রশি দিয়ে তাদের পথরোধ করে ৭-৮ জন ছিনতাইকারী। তাদের মারধর করে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তার একটি মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ২৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এর আগে রাত সাড়ে ৮টায় একই স্থানে বকুল হোসেনকে ছিনতাইকারীরা বেঁধে মারধর করে খাদে ফেলে রেখে যায়। তার কাছ থেকেও একটি মোটরসাইকেল, আইফোন, ডলার ও ৫৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। রাত ১২টা দিকে ভুক্তভোগীরা কৌশলে মুখ খুলে চিৎকার করলে গ্রামবাসী এসে তাদের উদ্ধার করেন। সংবাদ পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

মরিচের কেজি ১৫ টাকা হতাশ চাষিরা

জমিতে মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশায় ছিলেন আদমদীঘি উপজেলার চাষিরা। বাজার দরে সে আশা ভেঙেছে। চলতি মৌসুমে হাটবাজারে মাত্র ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে মরিচ। যার উৎপাদন খরচ গড়ে কেজিপ্রতি ২৫ টাকার মতো বলে জানিয়েছেন চাষিরা। এতে করে কৃষকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।
আদমদীঘি উপজেলার তেঁতুলিয়া, কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, কেশরতাগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠজুড়ে বর্ষা মৌসুমে ৭ শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছেন স্থানীয় চাষিরা।
বিগত বছরে মরিচের দাম বেশি পাওয়ায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল। এখানকার মরিচ ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রাকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তেঁতুলিয়া গ্রামের মরিচচাষি এনামুল, জিল্লুর রহমান জানান, এবার বেশি জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে জমি তৈরি, লাগানো, ফসলে খাবার, পোকা দমনে ওষুধ প্রয়োগ, পরিচর্যা, শ্রমিকের মজুরিসহ বিভিন্ন খাতে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বর্তমানে হাটবাজারে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না। জমিতে মরিচ চাষ করে দাম কম পাওয়ায় হতাশায় পড়েছেন তারা।  
কাঁচামরিচ পাইকার ব্যবসায়ী সোহেল ও ফারুক হোসেন জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি হাটবার প্রায় আড়াই হাজার মণ কাঁচামরিচ সরবরাহ করা হয়। বাজারে কাঁচামরিচের বেশি সরবরাহ ও পাইকার কম থাকায় মরিচের দাম কমে গেছে পরে দাম বেশি পাবেন কৃষকরা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্লাস্টের
  • বগুড়ায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৪
  • বিনি সুতোর মালায় গাঁথা তাঁরা তিনজন, 'মালা'র নাম ২২ জুন
  • মরিচের কেজি ১৫ টাকা হতাশ চাষিরা