গাজীপুরে হাফ ভাড়া নিয়ে তর্কে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে এক কলেজছাত্রকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মহানগরের পোড়াবাড়ী মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিয়াম আহমেদ গাজীপুর সদর উপজেলার বাউপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় রোভার স্কাউট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে সিয়াম চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। মাস্টারবাড়ি স্ট্যান্ডে তাঁর নামার কথা ছিল। মাঝপথে হাফ ভাড়া নিয়ে বাসের সহকারীর সঙ্গে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে সহকারী উত্তেজিত হয়ে তাঁকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এতে মহাসড়কে পড়ে গেলে বাসের পেছনের চাকা তাঁর মাথার ওপর দিয়ে উঠে যায়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। চালক ও সহকারী পালিয়ে গেলেও স্থানীয় জনতা বাসটি আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

গাজীপুর মহানগর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, লাশ থানায় আনা হয়। পরে স্বজনরা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ নেওয়ার আবেদন করলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তা হস্তান্তর করা হয়।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

খুলনা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবল সাব্বির হোসেন মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে খুলনা রিজার্ভ অফিসে কর্মরত কনস্টেবল মো. সাব্বির হোসেন পুলিশ সুপারের বাসভবন থেকে জরুরি চিঠি নিয়ে মোটরসাইকেলে শিরোমনি জেলা পুলিশ লাইনসে যাচ্ছিলেন। পথে খুলনা বিজিবি সেক্টর সদর এলাকায় খুলনা-যশোর মহাসড়কে রাত সোয়া ১১টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে সাব্বির ও মোটরসাইকেলে থাকা অপর সঙ্গী কনস্টেবল নাজমুল হোসাইন রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং গুরুতর জখম হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কনস্টেবল সাব্বিরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মারা যান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ