‘অলরাউন্ডার’ নাসুমও জেতাতে পারলেন না বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে
Published: 10th, May 2025 GMT
নাসুম আহমেদের মূল কাজটা বল হাতে। ব্যাটিংয়েও তাই তিনি নামেন পরের দিকে। আজও ৮ নম্বরেই খেলতে নেমেছিলেন। কিন্তু লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে আগে কখনো ৫০ পেরোতে না–পারা নাসুম আজ ফিফটি পেয়ে গেছেন। ৬৭ রান করে হয়ে গেছেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। অন্য ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে না পারায় বাংলাদেশ ‘এ’ অলআউট হয় ২২৭ রানে।
এরপর নাসুম ২ উইকেট নিলেও রানটা ১০ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে তৃতীয় ও শেষ বেসরকারি ওয়ানডেটা জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড ‘এ’। প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই বাংলাদেশ ‘এ’ সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিল।
সিলেটের একাডেমি মাঠে আজ টস হেরে ব্যাট করতে নামতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ৫৪ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইয়াসির আলী। অপর প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারানোর ফাঁকে ফিফটি তুলে নেন তিনি।
ফিফটি পেয়েছেন ইয়াসির আলীও.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মাছের খামার দখলের জন্যই রুবেলকে হত্যা
মাছের খামার দখলের জন্যই সাভারের আশুলিয়ায় রুবেল মণ্ডলকে (৩৫) হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডের হোতা আমজাদ মণ্ডল ও তার সহযোগী জুয়েল মাদবরকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৪। শুক্রবার রাতে সংস্থাটির নবীনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহামুদ খানের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত রুবেল মণ্ডল আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম দক্ষিণপাড়া এলাকার নায়েব আলী মণ্ডলের ছেলে। তাঁর বড় ভাই রুহুল আমিন মণ্ডল আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। রুহুল আমিন মণ্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে এলাকাছাড়া।
তাঁকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আমজাদ মণ্ডল (৪৫) ও জুয়েল মাদবর (৩৬) আশুলিয়ার পাড়াগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। র্যাব জানায়, ভাইয়ের মাছের খামার, ঝুট ব্যবসা ও বালুর ব্যবসা দেখাশোনা করতেন রুবেল মণ্ডল। বেশকিছু দিন ধরে আমজাদ মণ্ডলের সঙ্গে মাছের খামার নিয়ে তাঁর বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধ মীমাংসার নাম করে গত বুধবার সকালে রুবেল মণ্ডলকে ডেকে নেয় প্রতিপক্ষ। পরে নিজ মাছের খামারে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন লাশ দেখতে পেয়ে আশুলিয়া থানায় খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। লাশের পাশেই তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
রুবেলের ভাই আলমগীর মণ্ডলের ভাষ্য, তাদের বড় ভাই রুহুল আমিন মণ্ডল পরপর দুইবার আশুলিয়া ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন। ঝুটের ব্যবসাসহ এলাকায় মাছের খামার ও গরুর খামার রয়েছে তাঁর। এসব ব্যবসা দখলে নেওয়ার জন্য ৫ আগস্টের পর তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন এলাকাছাড়া। তাঁর (রুহুল) অনুপস্থিতে ওই ব্যবসা-বাণিজ্য দেখভাল করতে ছোট ভাই রুবেল মণ্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এতেই বিপত্তি দেখা দেয়। ব্যবসা দখলের পথে বাধা মনে করেই তাঁকে হত্যা পরিকল্পনা করে বলে তাঁর অভিযোগ।
আলমগীর বলেন, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টার দিকে আলাউদ্দিন নামের একজন তাঁকে (রুবেল) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর তাঁকে আমাদের মাছের খামারে নিয়ে যায়। সেখানে ডা. জাকির, আমজাদ মণ্ডল, জাইদুর মণ্ডল, হামেদ মাদবর, কুদ্দুস মণ্ডল, জুয়েল মাদবর, মুনসুর মণ্ডল, মিজান মণ্ডল ওরফে হায়েল মণ্ডল, সেলিম মণ্ডল, আবুল কাশেম দেওয়ান ও মিলন মণ্ডলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ছয়-সাতজন রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের ১৫-২০ দিন আগে থেকেই রুবেলকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। দুই দিন আগেও জোর করে তাদের খামার থেকে মাছ লুটে নেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ঘটনায় পুলিশ আগেই আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-৪ জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরই তাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ধামরাই থানাধীন কালামপুর বাজার এলাকা থেকে ওই দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।