সারা দেশের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল স্বপন। শনিবার জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৫ এর উদ্বোধন ও জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৪ এর পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ঢাকার মাল্টিপারপাস কনফারেন্স হলে প্রধান অতিথি শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.

চৌধুরী রফিকুল আবরার মোস্তফা কামাল স্বপনের হাতে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের পদক ও সম্মননা তুলে দেন।
   
এর আগে তিনি ২০১৩ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছিলেন। মোস্তফা কামাল স্বপন ১৯৯০ সালে গাবতলী উপজেলার তল্লাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। ২০১০ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পদ্মপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি জেলার গাবতলী উপজেলার চকডঙর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।

শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের সম্মান অর্জনের বিষয়ে মোস্তফা কামাল স্বপন জানান,তাঁর বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী আছে। তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নিয়মিত খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ভালো কাজ করার জন্য উদ্ধুদ্ধ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিশেষ ক্লাস নেন এবং অভিভাবকদের উদ্ধুদ্ধ করতে মা সমাবেশ, বাবা সমাবেশ, হোম ভিজিট জোরদার, সন্ধ্যায় বাড়িতে লেখাপড়াও তদারকি করা হয়। 

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজোয়ান হোসেন বলেন, জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হতে হলে যেসব সূচক প্রয়োজন তার সবই অর্জন করেছেন মোস্তফা কামাল স্বপন। এ কারণে তিনি  শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ম ল স বপন

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পী সমিতি নিয়ে অমিত হাসানের বিস্ফোরক মন্তব্য

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক ও খলনায়ক অমিত হাসান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দুই চরিত্রেই দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন। সেই সমিতির বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রকাশ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন অমিত হাসান। 

সোমবার (১২ মে) ফেসবুক স্ট্যাটাসে অমিত হাসান লেখেন, “শিল্পী সমিতি আছে কিন্তু শিল্পী নাই।” তার এই পোস্টে সমর্থন জানিয়েছেন চলচ্চিত্রাঙ্গনের অনেক সিনিয়র তারকা। ওমর সানী মন্তব্যের ঘরে লেখেন, “একদম সত্যি, ভালো বলছিস।”

গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত হাসান বলেন, “সিনিয়র শিল্পীরা এখন অবহেলিত। আমাদের নিয়ে কেউ ভাবছে না, আমাদের জন্য গল্প লেখা হচ্ছে না। আমি, রুবেল, ওমর সানী, আমিন খান, বাপ্পারাজ— কোনো সিনেমায় নেই। এমনকি আমাদের জুনিয়ররাও বেকার হয়ে গেছে। বাপ্পি চৌধুরী, সায়মন সাদিকরাও কাজ পাচ্ছে না। তাহলে এই শিল্পী সমিতিতে যাবে কে? এফডিসিতে শুটিং থাকলে শিল্পীরা আসবেন সমিতিতে। এখন সেটাও নেই।”

আরো পড়ুন:

নায়ক থেকে খলনায়ক, জাসাস থেকে দূরে: মিশার স্বীকারোক্তি

চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ তারকারা

বর্তমান নেতৃত্বের দিকে অভিযোগের তির ছুড়ে বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে এখন গ্রহণযোগ্য কোনো নেতৃত্ব নেই। সভাপতি মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক ডিপজল— দুজনই মাসের পর মাস দেশের বাইরে। এভাবে তো কোনো সংগঠন চলতে পারে না।”

পুরোনো দিনের উদাহরণ টেনে অমিতাভ হাসান বলেন, “রাজ্জাক, আলমগীর, মান্না, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, মাহমুদ কলির মতো গুণী শিল্পীরা যখন নেতৃত্বে ছিলেন, তখন শিল্পীরা আসতেন, দেখা করতেন, আড্ডা দিতেন। শুটিংয়ের ফাঁকে খোঁজ নিতেন, সমিতিতে কে আছে। এখন এসব কিছুই নেই। এফডিসির শিল্পী সমিতি আজ প্রাণহীন।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ