ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্থানীয় সময় সকালে তার ডান পায়ের হাঁটুতে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী অভিনেতা জায়েদ খান।

২০১৬ সালে ‘মিসড কল’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে এক দুর্ঘটনায় ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায় মিশা সওদাগরের। সে সময় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও সম্প্রতি আবারো সেই একই জায়গায় আঘাত পান। চিকিৎসকের পরামর্শে হাঁটুর অস্ত্রোপচার করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান এই অভিনেতা।

অস্ত্রোপচারের পর আপাতত বিশ্রামে রয়েছেন মিশা সওদাগর। এ তথ্য উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, “মিশা ভাই দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর ব্যথায় ভুগছিলেন। এবার সফলভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে। তিনি এখন ভালো আছেন এবং দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাআল্লাহ।”

আরো পড়ুন:

কানের লাল গালিচায় ‘নগ্ন’ পোশাক নিষিদ্ধ

আপত্তির মুখে বদলে গেল রোশান-বুবলীর সিনেমার নাম

এদিকে, মিশা সওদাগরের অস্ত্রোপচারের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দাবি করা হয়, মিশা সওদাগর ‘মব লিঞ্চিং’-এর শিকার হয়েছেন এবং রাস্তায় তাকে মারধর করা হয়েছে। ভিডিওটি ঘিরে ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দেয়।

মিশা সওদাগরের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন, ভিডিওটি সম্পূর্ণ ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর। সূত্রটি বলেন, “মিশা ভাই ভালো আছেন, ভিডিওটি ভিত্তিহীন। সবাইকে অনুরোধ করছি— অপ্রমাণিত ও বিভ্রান্তিকর কোনো পোস্ট বিশ্বাস করবেন না।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি সুস্পষ্ট কূটনৈতিক সাফল্য

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কের হার কমায় একে ঐতিহাসিক চুক্তি আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের শুল্ক আলোচকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, “এটি সুস্পষ্ট এক কূটনৈতিক সাফল্য।”

শুক্রবার (১ আগস্ট) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, শুল্ক হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে, যা আগে আরোপিত শুল্ক হারের চেয়ে ১৭ শতাংশ কম। এর মাধ্যমে আমাদের আলোচকরা অসাধারণ কৌশলগত দক্ষতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষা ও সেটাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অবিচল প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছেন।

তিনি বলেন, আলোচকরা এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরলসভাবে কাজ করে জটিল আলোচনাকে সফলভাবে এগিয়ে নিয়েছেন। যেখানে শুল্ক, অশুল্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। আলোচনার মাধ্যমে অর্জিত এই চুক্তি আমাদের তুলনামূলক সুবিধা সংরক্ষণ করেছে। পাশাপাশি, বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তাবাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি ও আমাদের মূল জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেছে।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ২০ শতাংশ

কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আরো বলেন, এ অর্জন কেবল বাংলাদেশের বৈশ্বিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান শক্তিকে তুলে ধরে না; বরং এটি বৃহত্তর সম্ভাবনা, ত্বরান্বিত প্রবৃদ্ধি ও দীর্ঘমেয়াদি সমৃদ্ধির পথ উন্মুক্ত করে।

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিঃসন্দেহে উজ্জ্বল, উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, আজকের সাফল্য আমাদের জাতীয় দৃঢ়তা ও আগামী দিনের আরো শক্তিশালী অর্থনীতির সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির একটি শক্তিশালী প্রমাণ।

 

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ