রাঙামাটিতে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য
Published: 16th, May 2025 GMT
রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী সার্ভার স্টেশন এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা, রাঙামাটি’র ব্যানারে ভাস্কর্যটি ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর আগে ভাস্কর্য অপসারণ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন সংগঠনটির সদস্যরা।
এলাকাবাসী জানান, আজ রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী বাজার থেকে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে’ ‘মার্চ ফর ফ্যাসিবাদী আইকন’ কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি সার্ভার স্টেশনের সামনে এসে ৩ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। প্রশাসনের কোনো প্রতিক্রিয়া না পেয়ে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার কাজ শুরু করেন।
আরো পড়ুন:
ভাস্কর মানবেন্দ্রের বাড়িতে আগুন
হয়নি রিমান্ড শুনানি, আ.
নারায়ণগঞ্জে ডিসি কার্যালয়ে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুর
আন্দোলনকারী ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমাম হোসাইন বলেন, “সারা দেশের কোথাও ফ্যাসিবাদীর মূর্তি বা ভাস্কর্য নেই, কিন্তু আমাদের রাঙামাটিতে রয়ে গেছে। এই ভাস্কর্য অপসারণের জন্য আমরা গত ৯ মাস প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, কথা বলেছি। তারা বারবার আশ্বাস দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।”
তিনি আরো বলেন, “তিনদিন আগেও আমরা প্রশাসনকে এই ফ্যাসিবাদের মূর্তি অপসারণের জন্য ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। এরপরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রাঙামাটির ছাত্র-জনতা ভাস্কর্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে।”
জাতীয় নাগরিক পার্টি রাঙামাটি জেলার সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান রোমান বলেন, “আমরা ৩ ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পরও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাইনি। তাই আমরা এই ভাস্কর্য অপসারণের কাজ শুরু করেছি। এই ভাস্কর্য অপসারণের মাধ্যমে রাঙামাটি কলঙ্কমুক্ত হবে।”
ঢাকা/শংকর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ভ স কর য র ভ স কর য
এছাড়াও পড়ুন:
এজবাস্টনে আলোচনায় আম্পায়ার সৈকত
যশস্বী জয়সোয়ালের সঙ্গে বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের যেন একটা অদৃশ্য যোগসূত্র রয়েছে। ভারতীয় এই টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে এবং সৈকত আম্পায়ারিংয়ে থাকলে একটা না একটা কিছু ঘটবেই। সেই মেলবোর্ন থেকে শুরু করে এই ধারাবাহিকতা এজবাস্টনেও চলছে। এর মধ্যে এজবাস্টনে জয়সোয়াল-সংশ্লিষ্ট একটি সিদ্ধান্তে সৈকতের সঙ্গে তর্কেও জড়িয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস।
ইংলিশদের মন খারাপ হওয়ারই কথা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও যে তাদের হাতে নেই। দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের অধিনায়ক শুভমান গিল। তাঁর ১৬১ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪২৭ রান তুলে ডিক্লেয়ার করেছে ভারত। এরপর ৬০৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭২ রান করে চাপে আছে ইংল্যান্ড।
সর্বশেষ ঘটনাটি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ বিকেলের। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের অষ্টম ওভারে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদন করেন ইংলিশ পেসার যশ টং। আম্পায়ার সৈকত আঙুল তুলে আউট ঘোষণা করেন। জয়সোয়াল আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটার লোকেশ রাহুলের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউ নেন।
সৈকত নিয়ম অনুযায়ী টিভি আম্পায়ারের কাছে পাঠিয়ে দেন রিভিউ আবেদন। তবে এ সময় সৈকতের দিকে ছুটে যান বেন স্টোকস। ইংলিশ অধিনায়কের দাবি, রিভিউ নেওয়ার নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ড পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সৈকত বলেন, ১৫ সেকেন্ডের ভেতরেই রিভিউ নিয়েছেন জয়সোয়াল। বিষয়টি নিয়ে স্টোকস ও সৈকতের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও হয়। এর মধ্যে টিভি আম্পায়ার পল রাইফেল সিদ্ধান্ত দেন যে জয়সোয়াল আউটই ছিলেন। যার মানে, সৈকতের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। অথচ মাঝখান দিয়ে কত কিছু ঘটে গেল। বিশেষ করে বেন স্টোকসের ক্ষোভ প্রকাশের বিষয়টি বেশ দৃষ্টিকটুই ছিল।
এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও জয়সোয়ালের বিপক্ষে সৈকতের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছিল ইংলিশরা। ক্রিস ওকসের বলে জয়সোয়ালের বিপক্ষে এলবির আবেদনে সাড়া দেননি বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত। সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে ইংলিশ অধিনায়ক রিভিউ নিলে ‘আম্পায়ার্স কল’ বহাল থাকে। এর জেরে বোলার ওকস তো নিয়ম বদলের দাবি পর্যন্ত তুলেছিলেন। এজবাস্টন টেস্টে গতকাল চতুর্থ দিন প্রথম সেশন পর্যন্ত সৈকতের সাতটি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েছে ভারত ও ইংল্যান্ড। এর মধ্যে ব্রাইডন কার্সের বিপক্ষে সিরাজের এলবির নটআউট সিদ্ধান্ত বাদে আর একটিও সফল হয়নি।