মনোবিদরা বলেন, ‘‘সাধারণত সমালোচনা কিংবা নেতিবাচক আলোচনা তারাই করেন যাদের মধ্যে এক ধরণের নেতিবাচক কনফিডেন্স থাকে।’’ সুতরাং কোনো সহকর্মীকে নিয়ে অন্য সহকর্মীর কাছে দিনের পর দিন নেতিবাচক সমালোচনা করছেন মানে আপনি আপনার নেতিবাচক আত্মবিশ্বাসকে আরও বেশি জাগিয়ে তুলছেন। 

ডা. মেখলা সরকার, সাইকিয়াট্রিষ্ট একটি পডকাস্টে বলেন, ‘‘কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীকে খোঁচাখুচি করা, সমালোচনা করা কিংবা পেছনে কথা বলা ইত্যাদি আচরণ থেকে বিরত থাকুন। অন্যের সমালোচনা বা নেতিবাচক কমেন্ট কিন্তু আপনারই পজিশনকে নেতিবাচক করে তুলছে। এবং যার কাছে আপনি অন্য একজনকে নিয়ে সমালোচনা করছেন তার কাছেও আপনার নেতিবাচক একটা অবস্থান তৈরি হচ্ছে।’’ 

‘‘এই নেতিবাচক সমালোচনা বা এই পরষ্পর সমালোচনা বা তার প্রতি যে এক ধরণের নেতিবাচক চর্চা সেটা কিন্তু কর্মক্ষেত্রের পরিবেশটাকে অনেক নেগেটিভ করে থাকে। এর ফলে শুধু যে কর্মপরিবেশ নষ্ট হচ্ছে তা না, অন্যের চোখে আপনার অবস্থানও নেতিবাচক হয়ে যায়। যাকে নিয়ে আপনি কথা বলছেন, যা বলছেন সেটা কিন্তু ঠিকই তার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। কাজেই আপনি কিন্তু এক ধরণের অপ্রয়োজনীয় শত্রু তৈরি করছেন।’’—যোগ করেন মেখলা সরকার

আরো পড়ুন:

‘ইমোশনালি ম্যাচিউর’ বাবা মায়েরা শিশুর সঙ্গে যে পাঁচ আচরণ করেন

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ‘রিকশা গাউন’

মেখলা সরকারের পরামর্শ— কর্মক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন একটা বাউন্ডারি সেট করতে। সেই বাউন্ডারির ভেতরে থেকে অন্যকে নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকবেন।

এসব পরামর্শ মেনে চলতে পারলে আপনার অবস্থান অন্যদের কাছে নেতিবাচক হবে না, আপনার অপ্রয়োজনীয় শত্রু তৈরি হবে না এবং আপনার ইতিবাচক আত্মবিশ্বাস বাড়তে থাকবে।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম ও নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের নিরাপত্তা ও সেবা দিতে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, পুলিশ আইন ও বিধি দ্বারা পরিচালিত সুশৃঙ্খল বাহিনী। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পোশাকে, উপস্থাপনায়, সেবায় এবং দৃঢ়তায় নিজেদের অনন্য   উচ্চতায় তুলে ধরতে হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো প্রকার অপেশাদার আচরণ ও শিথিলতা প্রদর্শন করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই। মানুষের সাথে আচরণে বিনয়ী হতে হবে।  প্রতিটি থানায় আলাদা আলাদা টিম করে তদন্ত, মাদক, চোরাই মাল উদ্ধারে কাজ করতে হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আরো বেশি তৎপর হতে হবে এবং মামলা নিষ্পত্তির হার আরো বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিরাজমান পরিস্থিতিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিটি সদস্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে  পেশাদারিত্বের সাথে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি, যেমন: ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় ডিএমপি কমিশনার উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

মাসিক অপরাধ সভায় এপ্রিল মাসে ঢাকা মহানগরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদেরকে পুরস্কার দেন ডিএমপি কমিশনার।

অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ যুগ্ম কমিশনারগণ, উপ-কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমাদের সংস্কৃতি বদলায়নি, বদলেছে সংহতি
  • চোখ ভেজানো বিদায়: রাজীবের অন্তিম সংলাপ
  • ‘ইমোশনালি ম্যাচিউর’ বাবা মায়েরা শিশুর সঙ্গে যে পাঁচ আচরণ করেন
  • মার্ক জাকারবার্গ ঘন ঘন বৈঠকের বদলে যেভাবে প্রতিদিন কাজ করেন
  • সদাচরণ ইসলামের অন্যতম শিক্ষা
  • নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নাশকতার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে