বন্দরে শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর বিরুদ্ধে ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির মামলা
Published: 19th, May 2025 GMT
বন্দরে শাহিদা ও শাহাদাৎ দম্পতির বিরুদ্ধে বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটসহ ৬০লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিসাধণের অভিযোগে মামলা করেছে আল আমিন নামে এক ভূমি মালিক। গত রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৬নং আদালতে উক্ত মামলাটি দায়ের করেন। যার নং ১৯২/২৫।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,রুস্তমপুর এলাকার জনৈক ভূমি মালিক খরিদা সূত্রে উক্ত এলাকার একটি ভূমি ক্রয় করে বিগত ৩ বছর ধরে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি একই এলাকার শাহাদাৎ হোসেন ও তার স্ত্রী শাহিদা বেগম ওই ভূমির মালিকানা দাবি করলে এ নিয়ে আদালতে তৎসময় মামলা দায়ের করেন আল আমিন। যার নং ৫৯৫/২০২১।
ওই মামলায় আদালত বিজ্ঞ আদালত স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত ১২ মে শাহিদা ও শাহাদাৎ গং প্রায় ২/৩শজন ভাভড়াটে গুন্ডা নিয়ে আল আমিনের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালিয়ে তাদের বসত ৫টি ঘর ও আসবাবপত্রসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৬০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে।
বাদী আল আমিন ও তার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে হামলাকারী শাহিদা-শাহাদাৎ গংয়ের গুন্ডা বাহিনী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫টি ঘর ভাংচুর তান্ডব চালায়। এ সময় তারা ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। পরবর্তীতে তারা আল আমিন তার স্ত্রী মাহমুদা ও মাতা নিলুফা বেগমকে অস্ত্রাঘাতে আহত করে।
এ ঘটনায় আল আমিন বাদী হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করলেও রহসজ্যনক কারণে পরের দিন শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনী দ্বিতীয় দফা তান্ডব চালিয়ে আল আমিনের পরিবারকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাওয়া করে।
তাদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হামলা ও হুমকির কারণে উপায়ন্তর না পেয়ে শাহিদা-শাহাদাৎ বাহিনীর তান্ডবে আল আমিন ও তার পরিবারের প্রায় ৬০লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে এই মর্মে আদালতে মামলা দায়ের করেন
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ দ য় র কর পর ব র
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় একসঙ্গে তিন মেয়ের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। শুক্রবার সকালে উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়। তিন নবজাতক ও মা সুস্থ আছেন।
হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক স্বরূপ গোলদার প্রথম আলোকে বলেন, প্রথম থেকেই ওই রোগী তাঁদের ফলোআপে ছিল। আজ সকালে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। এখন মা ও তাঁর সন্তানেরা সুস্থ আছেন।
হাসপাতাল ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিন বছর আগে লোহাগড়া উপজেলার নোয়াগ্রামের খন্দকার সজীব হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয় আলপনা খানমের। আজ সকালে প্রসূতি ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে লোহাগড়া উপজেলা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তানদের ঝুঁকির কথা ভেবে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে স্বরূপ গোলদার অস্ত্রোপচার করেন। তিনি তিন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম এবং সন্তানদের সুস্থ দেখে খুশি গৃহবধূর পরিবার। তাঁর স্বামী খন্দকার সজীব হাসান বলেন, ‘বিয়ের তিন বছর পর আমাদের ঘরে তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। আমি এবং আমার পরিবার এতে অনেক খুশি। আমার বাচ্চাদের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’