ঢাবিতে সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ছাত্রদলের মশাল মিছিল
Published: 20th, May 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে শাখা ছাত্রদল। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় রাজু ভাস্কর্য থেকে মশাল মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে সমাবেশ করে। এ সময় গত ৯ মাসে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করে।
সমাবেশে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, সাম্য হত্যার ছয় দিন হয়ে গেল। অথচ ভিসি-প্রক্টর কিছু জানে না। আমরা ছয় দিন ধরে সহিষ্ণু আচরণ করছি। সাম্যের হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়নি। আমরা উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সাম্য জুলাই-আগস্টে সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিল। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি মব ভিন্ন বয়ান দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। সেটি উপাচার্য-প্রক্টরের পক্ষে যাচ্ছে। যারা বিভিন্ন ন্যারেটিভ দাঁড় করাচ্ছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
ছাত্রদলের শাখা সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান অনিক, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওন প্রমুখ।
১৩ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সাম্য নিহত হন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করলেন উপাচার্য: এদিকে সোমবার উপাচার্য ড.
পরিদর্শন শেষে নিয়াজ আহমদ বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য এ পর্যন্ত ২০টি সিসি ক্যামেরা ও কিছু বাতি লাগানো হয়েছে। একই সঙ্গে আমরা এখানে পুলিশের টহল দলকে দেখতে পেয়েছি। উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমরাও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও সন্নিহিত এলাকায় পরিদর্শন ও তদারকি কার্যক্রম জোরদার করেছি। আমরা সবার সহযোগিতা চাই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য ছ ত রদল ছ ত রদল র উপ চ র য
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব