গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার জবাবে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে ‘সমুদ্র অবরোধের’ ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী।
সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, এ ঘোষণার মুহূর্ত থেকে হাইফা বন্দর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই বন্দরে অবস্থান করা বা এর দিকে যাত্রা করা সব জাহাজ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বিষয়টি অবহিত করা হচ্ছে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন নিশানায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে যাচ্ছে হুতিরা। তবে বেশির ভাগ হামলাই ইসরায়েল প্রতিহত করেছে। হুতিদের হামলার জবাবে ইসরায়েলও পাল্টা হামলা চালিয়েছে। আলজাজিরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার কুরস্কে নিহত ৩
রাশিয়ার কুরস্ক ওব্লাস্টের একটি পাবলিক সমুদ্র সৈকতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং পাঁচ বছরের এক শিশুসহ সাতজন আহত হয়েছেন।
আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনেএ তথ্য জানিয়েছে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া।
কুরস্কের ভারপ্রাপ্ত গভর্নর আলেকজান্ডার খিনশটাইন তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি কোনো সামরিক লক্ষ্যবস্তু ছিল না। গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়, ছুটির দিনে, এমন একটি জায়গায় হামলা করা হয়েছে, যেখানে শিশুদের নিয়ে পরিবারগুলো বিশ্রাম নিচ্ছিল।”
আরো পড়ুন:
ইউক্রেনে আরো অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা ট্রাম্পের
মার্কিন অস্ত্র সহায়তা স্থগিতে রুশ হামলা জোরদারের শঙ্কায় ইউক্রেন
নিহতদের মধ্যে রাশিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের একজন সিনিয়র সার্জেন্টও রয়েছেন। খিনশটাইন বলেন, “প্রথম ড্রোন হামলার পর অফিসার এবং তার এক সহকর্মী বেসামরিক মানুষদের সরিয়ে নিতে সাহায্য করছিলেন। এসময় আরো একটি ড্রোন হামলা চালালে সার্জেন্ট নিহত হন।”
এক শিশুসহ পাঁচজন আহতের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। তাদেরকে আঞ্চলিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের শরীরে গভীর ক্ষত হওয়ার পাশাপাশি শরীর পুড়ে গেছে।
খিনশটাইন আরো বলেন, “জরুরি পরিষেবার সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের আগস্টে ইউক্রেন প্রথমবারের মতো রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে অনুপ্রবেশ করার পাশাপাশি বিশাল অংশ দখল করেছিল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ-মাত্রায় রুশ আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এটিই রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় সেনাদের সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনুপ্রবেশ।
দীর্ঘ ৮ মাস পর চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার সেনাবাহিনী কুরস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে পুনর্দখলে নেওয়ার দাবি করে।
ঢাকা/ফিরোজ