ঈদ সামনে রেখে তৎপর চোরাচালান চক্র, পণ্যসহ আটক ২
Published: 24th, May 2025 GMT
বর্তমানে বৈধ পথে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ঈদুল আযহা সামনে রেখে অবৈধ পথে আসা থামছে না। জিরা, রেডবুলসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেশে আনছে চোরাকারবারিরা।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর হাইওয়ে থানার টহল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাক-ভর্তি জিরার বস্তা, রেডবুল, ফুসকার প্যাকেট উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় ট্রাকচালক ও হেলপারকে। জব্দ করা হয় চোরাই মালবাহী ট্রাক।
আটককৃতরা হলেন- চালক রতন আলী (২৩) ও হেলপার আরিফুল ইসলাম (৩০)। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায়। শনিবার সকালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় তাদের দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবগুলো শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে মালামাল আসা অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৩ মে দিবাগত রাতে সিলেটের একটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ১২৫ বস্তা জিরা (৩৭৫০ কেজি), চার হাজার ৩২০ পিছ রেডবুল ও ৫২০ প্যাকেট ফুসকা (প্রতি প্যাকেটে এক কেজি) নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল একটি মিনি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড ১১-৮৪৪৪)। সিলেট অংশ অতিক্রম করে মৌলভীবাজারের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ট্রাকটি আটক করে হাইওয়ে টহল পুলিশ। এ সময় চালক সুনামগঞ্জের বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের গুদাম ঘরের ইনচার্জ স্বাক্ষরিত একটি নিলাম চালান দেখায়। যাচাই-বাছাইয়ে চালানটি ভুয়া প্রমাণিত হলে ওই ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর হাইওয়ে পুলিশের সিলেট রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সাইজ উদ্দিন, শেরপুর থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানসহ আরও পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে ত্রিপল সরিয়ে নামানো হয়। পরে পণ্যগুলো উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। অভিযানে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট সম্রাট হোসেন, শিশির চন্দ্র দাশ, এসআই সৈয়দ ইমরুল সাহেদসহ অনেকে ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবু তাহের দেওয়ান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত চোরাই মালামাল ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নামে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটককৃত মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ইওয়
এছাড়াও পড়ুন:
ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগপন্থি ৬ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভা শেষে তাদের আটক করা হয়।
ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
চাঁদাবাজির অভিযোগ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক দুই নেতা আটক
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই ডাকাত দলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১
এর আগে, উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা চলাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতা ও আওয়ামী লীগের সমর্থক চেয়ারম্যানদের আটক করে বিচার দাবিতে পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ করে বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
আটককৃতরা হলেন- ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা সালু, উড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল পাশা, গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেস আলম খুশু, ফুলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, ফজলুপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনছার আলী মন্ডল। এসময় উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ কৌশলে পালিয়ে যান।
এলাকাবাসী জানান, আটককৃতরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।
ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাদিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের সাত ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন। আসন্ন ঈদুল আজহার পর আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে বলে তারা প্রচার করছিলেন।”
তিনি বলেন, “এসব খবরে বিএনপির কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় জনগণ উপজেলা কমিটির মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভা চলাকালীন তাদের আটকের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে। এসময় পালিয়ে যান উদাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিন আহম্মেদ।”
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ফুলছড়ি থানা পুলিশ ছয় ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করে সদর থানায় হস্তান্তর করেছে। সেখানকার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাসুম/মাসুদ