বর্তমানে বৈধ পথে ভারতীয় পণ্যসামগ্রী আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে ঈদুল আযহা সামনে রেখে অবৈধ পথে আসা থামছে না। জিরা, রেডবুলসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী দেশে আনছে চোরাকারবারিরা।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর হাইওয়ে থানার টহল পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাক-ভর্তি জিরার বস্তা, রেডবুল, ফুসকার প্যাকেট উদ্ধার করে। এ সময় আটক করা হয় ট্রাকচালক ও হেলপারকে। জব্দ করা হয় চোরাই মালবাহী ট্রাক।

আটককৃতরা হলেন- চালক রতন আলী (২৩) ও হেলপার আরিফুল ইসলাম (৩০)। তাদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলায়। শনিবার সকালে মৌলভীবাজার মডেল থানায় তাদের দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সূত্র জানিয়েছে, দেশের সবগুলো শুল্ক স্টেশন ও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে চোরাইপথে মালামাল আসা অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৩ মে দিবাগত রাতে সিলেটের একটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে ১২৫ বস্তা জিরা (৩৭৫০ কেজি), চার হাজার ৩২০ পিছ রেডবুল ও ৫২০ প্যাকেট ফুসকা (প্রতি প্যাকেটে এক কেজি) নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিল একটি মিনি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ড ১১-৮৪৪৪)। সিলেট অংশ অতিক্রম করে মৌলভীবাজারের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ট্রাকটি আটক করে হাইওয়ে টহল পুলিশ। এ সময় চালক সুনামগঞ্জের বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের গুদাম ঘরের ইনচার্জ স্বাক্ষরিত একটি নিলাম চালান দেখায়। যাচাই-বাছাইয়ে চালানটি ভুয়া প্রমাণিত হলে ওই ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর হাইওয়ে পুলিশের সিলেট রিজিওনের সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সাইজ উদ্দিন, শেরপুর থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ানসহ আরও পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে ত্রিপল সরিয়ে নামানো হয়। পরে পণ্যগুলো উদ্ধার করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য ২৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ টাকা। অভিযানে হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট সম্রাট হোসেন, শিশির চন্দ্র দাশ, এসআই সৈয়দ ইমরুল সাহেদসহ অনেকে ছিলেন।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) আবু তাহের দেওয়ান অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধারকৃত চোরাই মালামাল ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের নামে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে আটককৃত মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ইওয়

এছাড়াও পড়ুন:

মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে নারী ইউপি সদস্যসহ আটক ৪

ঝিনাইদহের মহেশপুরে এক ব্যবসায়ীকে মারধর করে মোটরসাইকেল ও নগদ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (৬ জুলাই) সকালে তাদের আটক করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা সুমন মিয়া (২৬), শাকিল খান (২৬), নাটিমা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোছা. সালমা খাতুন (৪৫) ও বগুড়ার নুনগুলা ইউনিয়নের বাসিন্দা লুৎফর রহমান (২৩)।

আরো পড়ুন:

সাবেক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তারে অভিযানের পর বাড়ির পাশে মিলল লাশ

চাঁদাবাজির মামলায় গাজীপুরের সাবেক বিএনপি নেতা স্বপন গ্রেপ্তার

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মহেশপুর ডিগ্রি কলেজ মোড়ের নিজের মুদি দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন আব্দুস সামাদ।

পথে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি আব্দুস সামাদের চলন্ত মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি রাস্তার পাশে পড়ে যান। পরে তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল, নগদ ১৫ হাজার টাকা, একটি স্মার্টফোন ও একটি বাটন ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল।

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘‘আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় ৪ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
  • মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে নারী ইউপি সদস্যসহ আটক ৪