গাজীপুরের শ্রীপুরে দুই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে এমকে ফুটওয়্যার লিমিটেড কারখানার প্রায় পাঁচশ’ শ্রমিক। 

শনিবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে তারা মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার কারখানার সামনে মাওনা-গাজীপুর আঞ্চলিক সড়কে অবস্থান নিয়ে এই বিক্ষোভ করছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের এপ্রিল মাসসহ মোট দুই মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। একাধিকবার আশ্বাস দেওয়ার পরও বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শনিবার সকালে তারা কারখানায় এসে দেখেন, ভেতরের গেটে তালা ঝুলিয়ে মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

কারখানার এক শ্রমিক নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘চলতি মাসসহ দুই মাসের বেতন এখনো পাইনি। তাই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছি।’’  

আরেক শ্রমিক মামুন বলেন, ‘‘ভেতরে প্রবেশ করে দেখি কারখানায় তালা ঝুলানো। সামনে ঈদ, আমরা চলব কীভাবে?’’  

এ বিষয়ে কারখানার অ্যাডমিন ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা আগামী দুই দিনের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। কারখানাও খুলে দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উৎপাদন সাময়িক বন্ধ রয়েছে।’’  

বিক্ষোভের খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের একটি দল কারখানায় পৌঁছায়। শ্রীপুর সাব জোন ইনচার্জ মো.

আব্দুল লতিফ জানান, শ্রমিকদের দাবি সম্পর্কে অবগত হয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

বিল বকেয়া থাকায় কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে তিনি জানান। তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার

দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

শনিবার (২৪ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

বিবৃতিতে জানানো হয়, শনিবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ।

এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।

শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ