ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, “মানুষ যতটুকু চেষ্টা করবে ততটুকুই সে অর্জন করবে। চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই। তাই সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।”

শনিবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে কৃতী শিক্ষার্থীদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “তোমাদের সিভিতে আজ থেকে একটি স্টার যুক্ত হলো। তোমরা প্রথম হয়েছো যোগ্যতার ভিত্তিতে। যেই যোগ্যতা প্রতিফলন তোমাদের কর্মক্ষেত্রে ঘটবে। তোমরা ভবিষ্যতে আরো উজ্জ্বলতার স্বাক্ষর রাখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেশ ও বিশ্বের কাছে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরবে। এছাড়াও জুনিয়র যারা আছো তোমরাও ভালো ফলাফল অর্জনের চেষ্টা করবে। এই অর্জন উচ্চশিক্ষা ও চাকরির প্রতিযোগিতায় তোমাদের এগিয়ে রাখবে।”

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো উপাচার্য সম্মাননা পেলেন শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবিতে গবেষণা মেলা ২২ জুন

তিনি বলেন, “মেধাবীরাই পৃথিবী বদলেছে, মেধাবীরাই বাংলাদেশ বদলাবে। মেধাবীরা সমাজের অগ্রগামী শক্তি। তাদের জ্ঞান, চিন্তাশক্তি ও উদ্ভাবনী দক্ষতা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এই মেধাবীরা যাতে আশাহত না হয় সেজন্য তাদের যোগ্য সম্মান দিয়ে উৎসাহিত করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “এই মেধার হিসাব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই আজকের পরিবর্তিত বাংলাদেশ। আন্দোলনে মেধাবীদের সেই প্রাণ বিসর্জনকে সম্মান জানাতে হবে। ভুলে যাওয়া যাবেই না। দেশ গঠনে, একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনে যথাযথ ভূমিকা পালন করে স্বার্থক ও উন্নত দেশ গঠনে ব্রতী হয়েই এই সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।”

রেজাল্ট প্রদানে নমনীয়, ব্যবহারে সদয় এবং শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে শিক্ষকবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন উপাচার্য।

অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি অনুষদের ২০১৮-১৯ বর্ষের স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের ৩৫ শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এতে প্রতি অনুষদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ও যৌথভাবে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারীদের মেডেল, সনদপত্র ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হয়। 

ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ও ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম। 

ইবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মনজুরুল হকের সঞ্চালনায় এ সময় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক এমতাজ হোসেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক বেগম রোকসানা মিলি, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক খন্দকার তৌহিদুল আনাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক শেলিনা নাসরিন, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো.

আসাদুজ্জামান ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাবলী সাবিনা আজহার, বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইবি/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য ন অন ষ

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরিয়ার হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাবিতে মশালমিছিল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার, উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে মশালমিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে এ কর্মসূচিতে শাহরিয়ারের বন্ধু, সহপাঠীসহ ছাত্রদল ও বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে থেকে মশালমিছিলটি শুরু হয়। কলাভবন, হলপাড়া, প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে এসে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবিদুর রহমান বলেন, আজ ১১ দিন হয়ে যাওয়ার পরও সাম্যর খুনিরা অধরা। আরও তিনজনকে নাকি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের জনতার সামনে আনা হয়নি। সাম্য হত্যার পর এই ব্যর্থ প্রশাসন বিভিন্ন লোকদেখানো পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু তারা সাম্য হত্যার বিচার নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ইশরাত জাহান বলেন, বিগত ১৬ বছরে হাসিনা সরকারের সময় সাম্য সম্মুখসারির যোদ্ধা ছিলেন। তাঁকে ক্যাম্পাসসংলগ্ন এলাকায় নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছে। আজকে একটা গোষ্ঠী রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্য ভাইয়ের হত্যার বিচার চাওয়াটাকে আড়াল করার জন্য ফিকে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসছে।

১৩ মে রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহরিয়ার আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ