সিলেটের বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজারের তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৫৩ জনকে পুশইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

রোববার ভোরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের আটক করে বিজিবি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা যায়, আটকদের সবাই বাংলাাদেশি। তারা দেশের বিভিন্ন জেলার নাগরিক।

বিজিবি জানায়, বিয়ানীবাজার নয়াগ্রাম সীমান্তে আটক ৩২ জনের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৯ জন নারী এবং ১৪ জন শিশু রয়েছেন। রোববার ভোরে বিয়ানীবাজার সীমান্তের নয়াগ্রাম বিওপির আওতাধীন এলাকার দুই দেশের ৫৩৮ একর অমীমাংসিত ভূমির একটি বিলে তাদের ছেড়ে দেয় বিএসএফ।

ভোরে বিজিবি টহল দল ও স্থানীয়রা তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে নয়াগ্রাম প্রগতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। সেখানে তাদের পরিচয় শনাক্ত করার পর বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজিবির বিয়ানীবাজার সদরদপ্তর সূত্র জানায়, রোববার ভোরে বিয়ানীবাজারের বড়লেখার লাতু এলাকায় ৭৯ জন এবং পাল্লাথল এলাকায় আরো ৪২ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ। আটকদের বিজিবি বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করেছে।

বিয়ানীবাজার সীমান্ত এলাকায় পুশইন করা ৩২ জন মিলিয়ে তিন সীমান্ত দিয়ে ১৫৩ জনকে পুশইন করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজার বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল মেহেদী হাসান পিপিএম বলেন, আটক ১৫৩ জনের সবাই বাংলাদেশি। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাদের কাঁটাতারের পাশ দিয়ে শূন্যরেখার একটি বিলে ছেড়ে দেয় বিএসএফ। সেখান থেকে বিজিবি তাদের উদ্ধার করে (আটক)। প্রাথমিক যাচাই বাছাই শেষে তাদের বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ব এসএফ ব এসএফ বড়ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক