সিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 25th, May 2025 GMT
সিলেটের বিয়ানীবাজার ও মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১৫৩ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বড়লেখার শাহবাজপুর চা-বাগান ও লাতু সীমান্ত থেকে ১২১ জনকে এবং বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রাম এলাকার একটি বিল থেকে ৩২ জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে একত্রিত করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। আটক সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং বেশির ভাগের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বড়লেখায় ১২১ জন আটকবিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাত আড়াইটা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বড়লেখার শাহবাজপুর চা-বাগান ও লাতু সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে নারী-শিশুসহ ১২১ জনকে আটক করেছে বিজিবি। শাহবাজপুর চা-বাগান ও লাতু সীমান্ত দিয়ে তাঁদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। আটক সবার বাড়ি বাংলাদেশে। বেশির ভাগই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আটক ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বেশির ভাগের বাড়ি কুড়িগ্রামে। দু-একজনের বাড়ি কুমিল্লা ও খুলনায়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হবে।
সিলেট সীমান্তে আটক ৩২এদিকে সিলেটের বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রাম এলাকার একটি বিল থেকে ২৩ নারী ও শিশুসহ ৩২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে জড়ো করে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে বলে বিজিবি জানিয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আটক করা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক এবং কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। এ নিয়ে গত ১২ দিনে সিলেট সীমান্ত দিয়ে ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠানো হলো।
বিজিবি সূত্র জানায়, বিজিবির বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের (৫২ বিজিবি) নয়াগ্রাম বিওপির সদস্যরা আজ সকালে নয়াগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই ৩২ জনকে একটি বিল থেকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের বরাতে বিজিবি জানায়, বিএসএফ তাঁদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটি বিলে নামিয়ে দেয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নয় গ র ম ব এসএফ বড়ল খ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ