ক্লাস চলাকালীন অনুষ্ঠান করতে না দেওয়া ক্ষোভে রাজধানীর একটি কলেজে হামলা করছে ছাত্রদলের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ১১ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে থেকে ৬ জন হামলাকারীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সোমবার রাজধানীর মিরপুর- ১৩ নম্বরে অবস্থিত সাইক কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে এই ঘটনা ঘটে। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবু হাসনাত মো.

ইয়াহিয়া সমকালকে বলেন, ‘দুপুর দুইটার দিকে কাফরুল থানা ছাত্রদলের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল মাহবুব এসে আমাদের কলেজে একটি অনুষ্ঠান করবে বলে জানান। অধ্যক্ষ বলেন ক্লাস চলাকালীন অনুষ্ঠান করা যাবে না। এই কথা শুনে চলে গেলেও একঘণ্টা পর ফের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী নিয়ে ফিরে আসেন। মব তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।’

প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এই ঘটনা অন্তত ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান করতে না দেওয়ায় আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে গালাগালি করতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে জানানো হয়। তারা এসে ছয়জনকে আটক করে নিয়ে যায়।’ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, মো. রিফাত আহমেদ, রাকিবুল হাসান, আয়নার হোসাইন, তরজু, সাঈদ আল রহমান,রাজু, আলী কদম, হোসাইন, সাব্বির রহমান, সাফি ও রাতুল।

এই ব্যাপারে কাফরুল থানার ওসি কাজী গোমাল মোস্তফা সমকালকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর ওপরে হামলার ঘটনার ৬ জনকে সেনাবাহিনী আটক করে নিয়ে গেছে। আটকরা হলেন, ফরসাল মাহবুব, রিফাত আহমেদ, শাহরিয়ার প্রান্ত, আতাউর রহমান, আকাশ। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ মামলা করলে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করবে।’

এই বিষয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘কাফরুল থানা ছাত্রদলের কোনো কমিটি নেই। কলেজে কারা হামলা করেছে এই বিষয়ে আমার জানা নাই। আমাদের নেতাকর্মী সেখানে যায়নি।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল আহত ছ ত রদল র ন ত কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত ভবনে মিলল যুবকের লাশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মো. মামুন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. মামুন উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, পরিত্যক্ত ভবনে লাশটি দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় অবহিত করেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত যুবকের শরীরে আঘাতের একাধিক ফোলা চিহ্ন রয়েছে। তবে তা কীসের আঘাত সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ