মাটিরাঙ্গায় আরও ১৯ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলো বিএসএফ
Published: 26th, May 2025 GMT
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গার উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে আরো ১৯ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার (২৬ মে) ভোর রাতে এই ১৯ জন নারী-পুরুষ শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।
এরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর বিজিবি তাদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়। পরে স্থানীয় আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু রয়েছে। নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা দাবি করেছে। কাজের সন্ধানে তারা ভারতের হরিয়ানা গিয়েছিলো।
অনুপ্রবেশকারীরা জানান, হরিয়ানা থেকে বিমানে করে তাদের আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার করবুক এর সীমান্তবর্তী গুলোমনিপাড়ায় বিএসএফ নিয়ে আসে এবং আজ (সোমবার) ভোর রাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
তবে এ বিষয়ে বারবার চেষ্টা করেও বিজিবির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্জুরুল আলম আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অনুপ্রবেশকারীদের দাবি তাদের বাড়ী বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে। তাদের দাবী সঠিক কিনা পুলিশের বিশেষ শাখার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় অনুপ্রবেশের দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে চলতি মাসে দুই দফায় ৮৬ জনকে পাঠিয়েছিলো বিএসএফ।
ঢাকা/রূপায়ন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।