বিএনপি অফিস ভাঙচুর-আগুন: ক্রিকেটার সাকিবের বাবাসহ ৭৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 26th, May 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে মাগুরায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা মামলা হয়েছে। মামলায় মাগুরা–১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বাবা খন্দকার মাসরুর রেজাসহ ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
গত ১৮ মে মাগুরা সদর থানায় মামলাটি করেন মো.
বাদী মো. আবু তাহের (৩১) মাগুরা সদর উপজেলার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নিজেকে বিএনপির একজন কর্মী এবং ওই কার্যালয়ের কেয়ারটেকার হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৪ আগস্টের ঘটনায় এ মামলা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তদন্ত চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পিস্তল, শটগান, রামদা, চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রড, শাবল, ককটেল, পেট্রোলসহ মাগুরা শহরের ইসলামপুরপাড়ায় অবস্থিত বিএনপি কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। ভেতরে থাকা চেয়ার, টেবিল, আলমারিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। পরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় বিএনপি অফিসের পশ্চিম পাশে অবস্থিত মাগুরা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোর এর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী। তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মী।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ১ নম্বর আসামি খন্দকার মাসরুর রেজা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বিএনপি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুকুম দেন।
মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হচ্ছেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাখারুল ইসলাম শাকিল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ রেজাউল ইসলাম ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন ব এনপ উল ল খ ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস