হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে: রিজওয়ানা হাসান
Published: 26th, May 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সরকার স্থায়ী সমাধানের পথে কাজ করছে। এ জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। হাতির জীবনও যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি মানুষের জীবনও।
আজ সোমবার শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কে মতবিনিময় সভা ও ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, মানুষ হাতির আবাসস্থল দখল করে নিচ্ছে, ফলে হাতির খাবার কমে যাচ্ছে। ইউক্যালিপটাসসহ বিদেশি গাছ না রোপণ করে দেশীয়, হাতির উপযোগী গাছ রোপণ করতে হবে। প্রাকৃতিক বন ধ্বংস হলে আমরাও নিরাপদ থাকব না।
উপদেষ্টা জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী। মুখ্য আলোচক ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী রেজা খান।
উপদেষ্টা এ সময় হাতির আক্রমণে নিহত দুই ব্যক্তির পরিবারকে মোট ৬ লাখ টাকা এবং ১৫টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন। এছাড়া এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের মাঝে বাইনোকুলার, টর্চলাইট, হুইসেল, হ্যান্ডমাইকসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিতরণ করা হয়।
এর আগে উপদেষ্টা দাওধারা গারো পাহাড় পর্যটনকেন্দ্র এবং মধুটিলা রেঞ্জের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাগান প্রকল্প পরিদর্শন করেন। হাতি মৃত্যুর বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার দুই সপ্তাহেই ১২টি হাতি মারা গেছে। এটি মোটেও স্বাভাবিক বিষয় নয়। বহুদিনের অবহেলার কারণে সমস্যা এখন গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে হাতি-মানুষের সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
আজ দুপুরে দাওধারা এলাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। সাংবাদিকেরা ওই এলাকায় অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন এবং বনের মধ্যে বিদ্যুৎসংযোগ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টার অবস্থান জানতে চান। এরপর উপদেষ্টা চলে যাওয়ার পর বালু, পাথর ও বনখেকো কিছু ব্যক্তি এসে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে আহত হন ৪ সাংবাদিক। তবে বেশকিছু গণমাধ্যমে উপদেষ্টার গাড়িবহরে হামলা হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়। পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপদেষ্টার গাড়িবহরে কোনো হামলা হয়নি; খবরটি সঠিক নয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: পর ব শ উপদ ষ ট উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু
৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নিয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রদল। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ঢাকা ও ময়মনসিংহের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এ বিশেষ যাতায়াত সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শাখা ছাত্রদলের কর্মী নাফিস ইকবাল পিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানিয়ে পোস্ট দেন। একইসঙ্গে শাখা সভাপতি সাগর নাইম ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপুও তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরীক্ষার্থীদের এ সুবিধা গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনী রোডম্যাপের দাবিতে মানববন্ধন
বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান অর্জন ও বিতরণের জায়গা: ইউজিসি চেয়ারম্যান
ছাত্রদল জানিয়েছে, ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাস ছাড়বে। একটি ঢাকা রুটে এবং অপরটি ময়মনসিংহ রুটে যাবে। প্রতিটি বাসে ৫০ জন করে মোট ১০০ জন শিক্ষার্থী এই ফ্রি সার্ভিসের আওতায় যাতায়াত করতে পারবেন। এজন্য শিক্ষার্থীদের অবশ্যই আগাম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুগল ফর্মের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ এই সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন না।
শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী পোস্ট দিয়ে ছাত্রদলের এ পদক্ষেপকে ‘শিক্ষার্থীবান্ধব ও সময়োপযোগী উদ্যোগ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শাখা সভাপতি সাগর নাইম তার পোস্টে বলেন, “প্রতি বছর বিসিএসে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের আলো ছড়িয়ে দেন। আমরা চাই এ সুনাম আরো দূরে ছড়িয়ে পড়ুক, আরো উজ্জ্বল হোক। এ ধারাবাহিক সাফল্যের পথে আপনাদের পাশে থাকতে, ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে মাভাবিপ্রবি ছাত্রদল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে।”
এ বিষয়ে শাখা সাধারণ সম্পাদক সাজিদ ইসলাম দীপু বলেন, “জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সবসময়ই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে থাকে। গত বিসিএসে আমাদের বড় ভাই বিসিএস প্রশাসনে প্রথম হয়েছেন। এটি শুধু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নয়, সারা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। সেই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা এবার পরীক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু করেছি।”
তিনি বলেন, “বিশেষ করে অনেক নারী শিক্ষার্থী আছেন, যারা ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষাকেন্দ্র অনেক দূরে হওয়ায় অংশ নিতে পারেন না। আবার অনেকে যানবাহন না পেয়ে দেরিতে কেন্দ্রে পৌঁছান। আমরা চাইনি কেউ যেন যাতায়াত সমস্যার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় পিছিয়ে পড়েন। তাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ভাইয়ের সহায়তায় আমরা এ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছি।”
ঢাকা/আবিদ/মেহেদী