গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক তৈরির কারখানায় ৯৩ জন শ্রমিকের দুই মাসের বেতন না দিয়ে পালিয়ে গেছে কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলার পশ্চিম চান্দরা এলাকায় এম ফোরটি ফোর নিটওয়্যার নামে পোশাক তৈরির কারখানায় ৯৩ জন শ্রমিক কাজ করেন। আজ তাদের বেতন দেওয়ার কথা থাকলেও শ্রমিকদের আন্দোলন দেখে পালিয়ে যায় কর্মকর্তারা। ফলে শ্রমিকরা গত দুই মাসের বকেয়া বেতন না পেয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত কর্মবিরতিসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এ ঘটনায় ঈদের আগে ৯৩ জন শ্রমিকের বকেয়া বেতন প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

কারখানার শ্রমিকরা জানায়, এ কারখানার ৯৩ জন শ্রমিক গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে সকালে কাজে যোগ দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা কারখানার সামনেই বকেয়া বেতনের দাবিতে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। শ্রমিকদের আন্দোলন দেখে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফরা বেতন পরিশোধ না করেই কৌশলে পালিয়ে যান। 

এ কারখানার শ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম, নিষাদ মিয়া ও নুর বেগম বলেন, মঙ্গলবার বেতন দেওয়ার কথা দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। কর্মকর্তারা বেতন না দিয়ে কারখানা থেকে পালিয়ে গেছেন। শ্রমিকরা গত ঈদুল ফিতরের পর থেকে বেতন পাননি। ফলে তারা দুই মাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারেননি। তাই বাড়িওয়ালা বাসা ছাড়তে বলছেন। এবারের ঈদে বেতন না পেলে তাদের গ্রামের বাড়ি যাওয়া হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। 

কারখানার ব্যবস্থাপক সাবেরা বেগম বলেন, শ্রমিকদের বেতন দ্রুত পরিশোধ করা হবে। এ বিষয়ে  কারখানার কর্মকর্তাদের নিয়ে মিটিং চলছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর ওসি কিরন কুমার রায় বলেন, আজ থেকে ওই কারখানায় বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা চলছে। খবর পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে অবস্থান করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে যাতে শ্রমিকদের সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর মকর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

গভীররাতে ভূকম্পন অনুভূত

গভীররাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, মাঝারি মানের এ ভূ-কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের মণিপুর রাজ্যের মইরাং এলাকায় ভূপৃষ্ঠের ৪৬ দশমিক ৬ কিলোমিটার গভীরে।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। বাংলাদেশে তাৎক্ষণিক কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি মিয়ানমারেও এ কম্পন অনুভূত হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ