সিলেট-সুনামগঞ্জের তিন সীমান্ত দিয়ে একরাতে আরও ৬৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পুশইন করা ৫২ জনকে জৈন্তাপুর থানা ও ১৬ জনকে সুনামগঞ্জের ছাতক থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেটের ৪৮ ব্যাটেলিয়নের বিজিবি’র অধিনায়ক।

বুধবার ভোর ৪টায় সিলেট ৪৮ বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে বিএসএফের সদস্যরা ৬৮ জনকে পুশইন করে। এদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ২২ জন নারী এবং শিশু ২৮ জন। পরবর্তীতে এদের বিওপির টহল দল আটক করে।
  
বিজিবি জানায়, বিএসএফ কুড়িখাল ক্যাম্পের সীমান্ত পিলার ১২৪৬/এমপি দিয়ে ১৬ জনকে পুশইন করে। আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাতক উপজেলার ছনবাড়ীতে এদের আটক করা হয়।
 
অন্যদিকে রংটিলা ক্যাম্পের সীমান্ত পিলার ১২৮২/৮-এস দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। বাংলাদেশের আনুমানিক ১০০০ গজ অভ্যন্তরে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জিঙ্গাবাড়ীতে এদের আটক করা হয়।
  
শ্রীপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার প্রতিপক্ষ ৪ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ নলজুরি ক্যাম্পের সীমান্ত পিলার ১২৭৯/৫-এস দিয়ে ৩২ জনকে পুশইন করে। আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর পুঞ্জি এবং বেলীবোডিং স্কুলের সামনে ৩২ জনকে আটক করা হয়। 

সিলেট ৪৮ বিজিবির পরিচালক লে.

কর্ণেল মো. নাজমুল হক জানিয়েছেন, আটককৃত ব্যক্তিদের প্রাথমিক পরিচয় সনাক্ত করা হয়েছে, তারা বাংলাদেশি নাগরিক কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৫২ জনকে সিলেটের জৈন্তাপুর থানা পুলিশ এবং সুনামগঞ্জের ছাতক থানা পুলিশের নিকট ১৬ জনকে হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ছাতক থানার ওসি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আখন্দ জানান, দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিজিবির পক্ষ তাকে জানানো হয়েছে, বিএসএফের পুশইন করা ১৬ জনকে থানায় দেওয়া হবে। তবে এখনও তাদেরকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ প শইন স ন মগঞ জ র ১৬ জনক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক