সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৬৮ জনকে পুশইন
Published: 28th, May 2025 GMT
সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীও শিশুসহ আরও ৬৮ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ।
বুধবার (২৮ মে) ভোর রাতে সিলেটের কানাইঘাট ও জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জের নোয়াকোট সীমান্ত এলাকা দিয়ে তাদেরকে পুশইন করা হয়।
পুশইনকৃতদের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, ২২ জন নারী ও ২৮ জন শিশু রয়েছে। তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম, যশোর ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাদের সবাইকে আটক করেছে বিজিবির টহল দল।
বিজিবি সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.
এরমধ্যে সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ঝিংগাবাড়ি হতে পুশইন করা ছয় পরিবারের ২০ জন সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ছয় জন পুরুষ, সাত জন নারী ও সাত জন শিশু। আটক সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
অন্যদিকে বিজিবির অপর একটি টহল দল সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর বিওপির অন্তর্গত জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে ৩২ জনকে আটক করেছে। আটকরা পাঁচটি পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে সাত জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে। আটকৃতদের মধ্যে কুড়িগ্রামের ১৯ জন, যশোরের নয় জন ও বাগেরহাটের চার জন।
এছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলার নোয়াকোট বিওপির অন্তর্গত ছনবাড়ি নামক স্থান আরও পাঁচটি পরিবারের ১৬ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদেরকেও বিএসএফ পুশইন করেছে। আটকদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ, পাঁচ জন নারী ও ছয় জন শিশু রয়েছে। তাদের সকলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
বিজবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক আরো জানান, আটককৃতদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/নূর/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ন মগঞ জ জন প র ষ জন ন র জন শ শ
এছাড়াও পড়ুন:
১২ হাজার তরুণ–তরণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পিকেএসএফ
পেশাগত দক্ষতা বাড়াতে দেশের ১২ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দেবে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষানির্ভর তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রিজ কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি) আওতায়। এ প্রকল্পে সহায়তা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
আজ সোমবার রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এসআইসিআইপি ও পিকেএসএফের প্রকল্পের উদ্বোধন ও প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থী তরুণেরা ১২টি খাতের প্রশিক্ষণ পাবেন। প্রশিক্ষণ চলাকালে থাকা-খাওয়ার সব খরচ প্রকল্প থেকে বহন করা হবে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৩০ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। বাকি ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন নিম্ন আয়ের ও প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণেরা। প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর অংশগ্রহণকারীদের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক চাকরির ক্ষেত্রেও সহায়তা করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে বিদেশে। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পিকেএসএফ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো সেই চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।
পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, ‘প্রতিবছর ২০ লাখের বেশি তরুণ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। এটি একই সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা। প্রকল্পের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্বীকৃত কোর্স অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে প্রশিক্ষণ শেষে তাঁরা সহজেই কর্মসংস্থানে যুক্ত হতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে ১২ হাজার ছাড়াও আরও ৮ হাজার ৫০০ তরুণকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব সরকারের কাছে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ২ হাজার এতিম ও দুস্থ তরুণকেও প্রশিক্ষণের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান বক্তব্য দেন।