হামজা চৌধুরী, শমিত সোমের সঙ্গে ফাহামিদুল ইসলামকে নিয়েই সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

আজ বিকেলে ঘোষিত ২৬ জনের দলে চমক সুমন রেজা। ফেডারেশন কাপে দারুণ খেলা আবাহনীর এই ফরোয়ার্ডকে দলে রেখেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা, আছেন মৌসুমজুড়ে ফর্মে থাকা আবাহনীর আরেক ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ ইব্রাহিমও।

আরও পড়ুনসিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াড চূড়ান্ত: হামজা-শমিতের সঙ্গে আরও যাঁরা থাকছেন৩ ঘণ্টা আগে

২৬ জনের প্রাথমিক দলে তিন গোলকিপার—মিতুল মারমা, সুজন হোসেন ও মেহেদী হাসান শ্রাবণ। বসুন্ধরা কিংস থেকে আছেন ছয়জন—শেখ মোরছালিন, মজিবুর রহমান জনি, সাদ উদ্দিন, সোহেল রানা, তারিক কাজী ও রাকিব হোসেন।

বাংলাদেশের প্রাথমিক দলগোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসাইন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ
ডিফেন্ডার: শাকিল আহাদ তপু, জাহিদ হাসান, রহমত মিয়া, ঈসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম, সোহেল রানা, মজিবুর রহমান জনি, শেখ মোরছালিন, জামাল ভূঁইয়া, হামজা চৌধুরী, শমিত সোম।
ফরোয়ার্ড: ফাহামিদুল ইসলাম, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, ইমন শাহরিয়ার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল-আমিন ও সুমন রেজা।

১০ জুন ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সেই লক্ষ্যে ৩০ মে থেকে শুরু হবে প্রস্তুতি ক্যাম্প। সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে একই ভেন্যুতে ৪ জুন ভুটানের সঙ্গে একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ।

গত ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বাংলাদেশ। একই গ্রুপে থাকা সিঙ্গাপুরও ড্র করে হংকংয়ের সঙ্গে। তাতে এই চার দলেরই পয়েন্ট এখন সমান এক।

আরও পড়ুনবাফুফের ডাকে ইতালি থেকে ঢাকায় ফাহামিদুল৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ