ব্যবসা রাজনীতিতে, রাজনীতি ব্যবসায় পরিণত হলে দেশ এগোবে না
Published: 28th, May 2025 GMT
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, রাজনৈতিক অঙ্গনকে দুর্বৃত্তমুক্ত করতে কাজ করতে হবে। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী না করলে টাকার খেলায় দুরূহ সমস্যা তৈরি হয়। ব্যবসা রাজনীতিতে আর রাজনীতি ব্যবসায় পরিণত হলে দেশ-জাতি এগোবে না। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ (সিপিএস) ও ইউনিভার্সিটি স্টাডি ফোরাম (ইউএসএফ) আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
‘দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনে জাতীয় ঐকমত্য’ শীর্ষক এই আলোচনায় দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, নির্বাচন ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নিয়ে গভীর আলোচনা হয়। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনীতি যখন ব্যবসার মাধ্যমে প্রভাবিত হয় এবং ব্যবসা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়, তখন দেশ ও জাতির উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী না হওয়ায় টাকার দাপটে রাজনৈতিক অঙ্গন দুর্বৃত্তদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে, যা জাতীয় উন্নয়নের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুল আমিন ব্যাপারী, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক  ফজলে ইলাহি, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো.                
      
				
আলোচকরা বলেন, সচিবালয় এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে এখনও কেন ফ্যাসিবাদমুক্ত করা যায়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। গুম, খুন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন জরুরি।
তারা আরও বলেন, রাজনীতিতে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংবিধানে এমন সংস্কার আনতে হবে, যাতে একজন ব্যক্তি দুই মেয়াদের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে না পারেন এবং স্বজনপ্রীতির সুযোগ বন্ধ হয়। নির্বাচনী বিধিমালা সংস্কার করে অকার্যকর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাতিল এবং নতুন আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার কথাও আলোচনায় উঠে আসে।
সবশেষে বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব জনসমক্ষে প্রকাশ বাধ্যতামূলক করতে হবে, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয় এবং গণতন্ত্রের ভিত্তি মজবুত হয়।
  
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন ত ব যবস র জন ত ক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুর-৩: জাতীয় পার্টির আসন দখলে নিতে প্রচারণা শুরু বিএনপির
কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন রংপুর-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কব্জায় থাকা এ আসনটি দখলে নিতে অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
রংপুর-৩ আসনটি মূলত নগরীর কোতোয়ালি, সদর ও সিটি করপোরেশনের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত। প্রায় চার লাখের বেশি ভোটারের এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টি শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। এই আসনে সর্বশেষ নির্বাচনে জয় পেয়েছিলেন জি এম কাদের।
আরো পড়ুন:
এটাই হয়তো আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
কিশোরগঞ্জ-৪, নতুন করে আলোচনায় ফজলুর রহমান
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর ঐতিহ্যবাহী কেরামতিয়া মসজিদে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নামাজ পড়েন সামু। এরপর কেরাম মতিয়া এলাকা, কোর্ট চত্বর ও নগরীর সিটি বাজার এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।
সামু বলেন, “জনগণ এবার পরিবর্তন চায়। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভোটের মাঠে নামছি। বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত হবে।”
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সামসুজ্জামান সামুর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। তারা জানান, স্থানীয় নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ থাকলে জাতীয় পার্টির এই ঘাঁটিতে বিএনপি প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হতে পারবে।
রংপুর-৩ আসনটিতে সামসুজ্জামান সামুর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন (চরমোনাই) প্রার্থী ও দলটির রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান পিয়াল। আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির রংপুর মহানগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়ক আলমগীর হোসেন নয়ন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলে এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন জাতীয় পার্টির জি এম কাদের।
ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ