পশুর হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধীর দুই নেতা গ্রেপ্তার
Published: 29th, May 2025 GMT
চাঁদাবাজির অভিযোগে কুড়িগ্রামের যাত্রাপুর পশুর হাটের ‘বৈধ’ ইজারাদার মাহাবুব রহমান ও তাঁর সহযোগী মো. আলমগীর গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রসিদ ছাড়া চাঁদা তোলার সময় যৌথ বাহিনীর হাতে তারা আটক হন। গতকাল বুধবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। সেখানে বৈধতার কাগজপত্র দেখালে শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার মাহাবুব রহমান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বেলগাছা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। মো.
এজাহারে বলা হয়, ফেনীর ছাগলনাইয়ার মহিষ ব্যবসায়ী আনোয়ার মঙ্গলবার যাত্রাপুর হাট থেকে ১৭টি মহিষ কেনেন। পরে অভিযুক্তরা তাঁকে (আনোয়ার) গরু-মহিষ বিক্রির রসিদ শেডঘরে নিয়ে যান এবং প্রত্যেক মহিষের জন্য ৫০০ টাকা করে ৮ হাজার ৫০০ টাকা চাঁদা আদায় করেন। এ সময় আনোয়ার তাদের কাছে রসিদ চাইলে তারা তা দেখাতে পারেননি। আনোয়ার বিষয়টি যৌথ বাহিনীকে জানালে এ দু’জনকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, ‘মাহাবুব রহমান ওই হাটের ইজারাদার। তিনি চাঁদাবাজ নন। আমার সঙ্গে মাহাবুব রহমানের কথা হয়েছে। তারা কাগজ প্রদর্শনের সময় পাননি। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের আটক করে যৌথ বাহিনী। সকালে কাগজপত্র দেখালে তাদের জামিন হয়।’
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ জানান, মাহাবুব রহমান যাত্রাপুর হাটের বৈধ ইজারা মালিক। তবে ওই সময়ে তাঁর কাছে কাগজপত্র না থাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক করা হয়। সকালে থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মো. আলমগীর বলেন, দুপুরে যথাযথ কাগজ আদালতে দাখিল করে জামিনে মুক্ত হয়েছি। এটি সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র ছিল।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ম হ ব ব রহম ন আলমগ র
এছাড়াও পড়ুন:
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আহ্বান
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা আহ্বান
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি; ঢাকা (২৮ মে,২০২৫) :
সেকশন: বাংলাদেশ:
ট্যাগ:
ছবি:
ক্যাপশন: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়
একসাপট + সোশ্যাল:
মেটা:
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্রুত প্রত্যাহারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের পাঠানো সব মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্র আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে অবিলম্বে দাখিলের অনুরোধ করা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার বিষয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিলম্বের অভিযোগ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ বস্তুনিষ্ঠ নয়। এ ধরনের মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সভাপতিত্বে একটি আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি ২০২৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর গঠিত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সভায় মিলিত হচ্ছে। এসব সভায় মামলা প্রত্যাহারসংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পাঠানো তালিকা ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হচ্ছে। কমিটি এখন পর্যন্ত ১৬টি সভায় ১১ হাজার ৪৪৮টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির কাছে রাজনৈতিক দলগুলো থেকেও হয়রানিমূলক মামলার তালিকা প্রদানের সুযোগ রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, এই প্রেক্ষাপটে বিএনপি ২০২৫ সালের ১০ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার মামলার এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চলতি বছরের ২৭ এপ্রিল ১ হাজার ২০০টি মামলার তালিকা প্রদান করে। এসব মামলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক ইতিমধ্যে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির স্বীয় উদ্যোগে প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। রাজনৈতিক দল দুটো কর্তৃক পাঠানো তালিকার সঙ্গে মামলা–সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র (এজাহার ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চার্জশিট) না পাঠানোয় অন্যান্য মামলা প্রত্যাহারে বিলম্ব হচ্ছে। অন্যদিকে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মাত্র কয়েক দিন আগে (২০ মে) ৪৪টি মামলা প্রত্যাহারের তালিকা দিয়েছে। এসব মামলার কাগজপত্র পরীক্ষা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।